যৌন অধ্যয়ন: একটি সূচনা
যৌনতা কি?
World Health Organization নিম্নলিখিত সংজ্ঞা প্রদান করে-
“সারা জীবন জুড়ে মানুষ হওয়ার একটি কেন্দ্রীয় দিক, যা লিঙ্গ, লিঙ্গ পরিচয় এবং ভূমিকা, যৌন অভিমুখীতা, কামুকতা (eroticism), আনন্দ, ঘনিষ্ঠতা এবং প্রজননকে অন্তর্ভুক্ত করে। যৌনতা চিন্তা, কল্পনা, আকাঙ্ক্ষা, বিশ্বাস, মনোভাব, মূল্যবোধ, আচরণ, অনুশীলন, ভূমিকা এবং সম্পর্কের মধ্যে অভিজ্ঞ এবং প্রকাশ করা হয়। যদিও যৌনতা এই সমস্ত মাত্রাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে, তবে তাদের সবগুলি সর্বদা অভিজ্ঞ বা প্রকাশ করা হয় না। যৌনতা জৈবিক, মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, আইনি, ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক কারণগুলির মিথস্ক্রিয়া দ্বারা প্রভাবিত হয়।” ((World Health Organization. Defining Sexual Health: Report of a Technical Consultation on Sexual Health, 28–31 January 2002. Geneva, Switzerland: World Health Organization; 2006.))
যৌনতার বিভিন্ন দিক
যৌনতার উপরোক্ত সংজ্ঞা এটিকে একটি বিস্তৃত ধারণা হিসাবে বর্ণনা করে যা নিম্নলিখিত অংশে বিভক্ত করা যেতে পারে-
1. যৌনতা যেভাবে এটি মানুষের পরিচয়ের সাথে সম্পর্কিত (লিঙ্গ পরিচয় এবং যৌন অভিযোজন)।
2. যৌনতা যেভাবে এটি মানুষের আচরণ, যা কামোত্তেজকতা, আনন্দ, ঘনিষ্ঠতা এবং প্রজনন সম্পর্কিত অনুশীলনের সাথে সম্পর্কিত। (অর্থাৎ, যৌন আচরণ)
3. যৌনতা যেভাবে এটি মানুষের চিন্তা, কল্পনা, আকাঙ্ক্ষা, বিশ্বাস, এবং মনোভাব যা কামুকতা, আনন্দ, ঘনিষ্ঠতা এবং প্রজনন সম্পর্কিত মূল্যবোধের সাথে সম্পর্কিত।
একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল যে উপরোক্ত তিনটি কারণের সবকটিই মানুষের যৌন অভিজ্ঞতায় উপস্থিত থাকতে হবে, এমন নয়। অধিকন্তু, যৌনতার এই তিনটি দিক জৈবিক, মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, আইনি, ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক কারণগুলির দ্বারা প্রভাবিত হয়।
সামাজিক কাঠামো হিসাবে যৌনতা
একটি সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে, যৌনতাকে একটি সামাজিক কাঠামো হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে যা যৌন আচরণ, চিন্তাভাবনা এবং পরিচয় নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী। আমাদের সমাজের প্রধান মানদণ্ড, যার অধীনে যৌন আচরণ এবং পরিচয় নিয়ন্ত্রিত হয় “হেটেরোনরমাটিভিটি/heteronormativity” বলে পরিচিত।
হেটেরোনর্মাটিভিটি/Heteronormativity হলো- সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বাস্তবসম্পদ এবং পরিচয়গুলির সংজ্ঞায়িত সীমানা এবং এই জাতীয় সীমারেখা অনুসারে জীবনযাত্রার প্রয়োগ।
“Heteronormativity has been defined as the enforced compliance with culturally determined heterosexual roles and assumptions about heterosexuality as ‘natural’ or ‘normal’. Cross-disciplinary theoretical literature suggests that heteronormativity may be linked to a range of attitudes, social phenomena and outcomes and that it may be a fundamental prerequisite for institutional and interpersonal manifestations of heterosexism.” ((Habarth 2015, p.167–168, Habarth, J. M. (2015). Development of the heteronormative attitudes and beliefs scale. Psychology & Sexuality, 6(2), 166–188.))
বিস্তৃত সামাজিক কাঠামো যা আমাদের যৌন আচরণ, চিন্তাভাবনা এবং পরিচয় নিয়ন্ত্রণ করতে এই heteronormative মানকে ব্যবহার করে তা বিষমকামীতা/heterosexuality নামে পরিচিত। Heterosexuality (বিষমকামীতা) হলো একটি বিস্তৃত, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মধ্যে অবস্থিত একটি সাংস্কৃতিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক অনুশীলন, যার মাধ্যমে যৌন আচরণ “Heteronormative” মানদণ্ডে নিয়ন্ত্রিত হয়। ((Brooks 2019, p.909, Brooks, V. (2020). Greer’s ‘Bad Sex’ and the Future of Consent. Sexuality & Culture, 24(3), 903–921.)) ((Maung 2021, p.3, Maung, H. H. (2021). A dilemma in rape crisis and a contribution from philosophy. Humanities and Social Sciences Communications, 8(1), 1–9.))
আমাদের সমাজে, “স্বাভাবিক” প্রায়ই “প্রাকৃতিক”-এর সাথে মিলিয়ে ফেলা হয়। এবং সমাজে যা স্বাভাবিক করা হয়েছে তা হল পুরুষত্ব এবং নারীত্বের খুব নির্দিষ্ট সংজ্ঞা যা আদর্শিক মান হিসাবে কাজ করে। তদুপরি, এই আদর্শগুলিও নির্দেশ করে যে কোন যৌন আচরণগুলি সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং কোনটি নয়। পুরুষত্বের একটি নির্দিষ্ট সংজ্ঞা সেই মান হিসাবে রয়ে গেছে যার বিপরীতে পুরুষত্বের অন্যান্য রূপগুলি পরিমাপ এবং মূল্যায়ন করা হয়। আধিপত্যবাদী সংস্কৃতির মধ্যে, পুরুষত্ব যা শ্বেতাঙ্গ, মধ্যবিত্ত, মধ্যবয়সী, বিষমকামী পুরুষদের সংজ্ঞায়িত করে তা হল একটি পুরুষত্ব যা অন্য পুরুষদের জন্য মান নির্ধারণ করে, যার বিপরীতে অন্য পুরুষদের পরিমাপ করা হয় এবং পরিমাপের ফলে প্রায়শই অন্যান্য পুরুষত্বের ত্রুটি পাওয়া যায়। এই সংজ্ঞাটিকে আমরা বলবো “আধিপত্যবাদী” পুরুষত্ব, ক্ষমতায় থাকা পুরুষদের পুরুষত্বের চিত্র, যা মান/standard হয়ে গেছে। ((Kimmel, Michael (2001) p.271–272 Masculinity as homophobia: Fear, shame, and silence in the construction of gender identity. In The masculinities reader, edited by Stephen M. Whitehead and Frank J. Barnett, 266–87.))
ভালোবাসা, ঘনিষ্টতা এবং আনন্দ হিসাবে যৌনতা
অনেক পুরুষ সমাজবিজ্ঞানী যারা জাতিরাষ্ট্র, বিশ্বায়ন, আধুনিকতা এবং এই জাতীয় অন্যান্য সম্মানজনক বিষয় নিয়ে লেখেন, প্রায়শই ভালোবাসার উপর একটি বা দুটি বই লিখে থাকে। একজন বাবার মতো, যিনি সপ্তাহে একবার তার সন্তানদের স্কুল থেকে তুলে নেন, সকল পুরুষ লেখকরা তাদের লেখার অবদানের জন্য প্রশংসিত হয়, এবং তাদেরকে তাত্ক্ষণিক উচ্চ-উদ্ধৃত বিশেষজ্ঞ হিসাবে গণ্য করা হয়। তার চিকন বই-এ The Transformation of Intimacy, Anthony Giddens “বিশুদ্ধ সম্পর্ক” এর ধারণাটি তুলে ধরেন যার দ্বারা তিনি নৈতিকভাবে বিশুদ্ধ সম্পর্কের পরিবর্তে, প্রাতিষ্ঠানিক নোঙ্গর থেকে বিছিন্ন একটি সম্পর্কের কথা বোঝান, যেই সম্পর্কের মধ্যে মানুষ নিজেদের সুবিদার্থে প্রবেশ করে, এবং যা শুধুমাত্র সেই সম্পর্কের মধ্যে উত্পাদিত পারস্পরিক মানসিক পুরস্কারের কারণে বিদ্যমান। এই ধরনের সম্পর্ক অন্তর্নিহিতভাবে ভঙ্গুর, কারণ এটি শুধুমাত্র মানুষের নিজেদের সুবিধার উপরে ভিত্তি করে বিদ্যমান। কিন্তু তবুও এই ধরণের সম্পর্কের পুরষ্কারগুলি সমানভাবে দুর্দান্ত: অংশীদাররা “ends-in-themselves” হিসাবে মূল্যবান বোধ করে। বিশুদ্ধ সম্পর্ক অগত্যা equals-দের মধ্যে বিদ্যমান এবং এটি প্রাতিষ্ঠানিক খ্যাতির উপর কখনোই নির্ভর করতে পারে না। “আস্থা শুধুমাত্র পারস্পরিক আত্ম-প্রকাশের একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংঘটিত হতে পারে,” গিডেন্স জোর দিয়ে বলেন। এই সম্পর্কের মধ্যে, যৌনতা প্রজনন থেকে বিচ্ছিন্ন, এটি নিজেই একটি ফলক; যা নমনীয় এবং মানুষের সুখ প্রকাশ ও ঘনিষ্ঠতার একটি মৌলিক মাধ্যম। এটিকে তিনি “নমনীয় যৌনতা” বলেছেন যার উদ্দেশ্য হল যৌন সংযোগের মাধ্যমে আনন্দ।
গিডেন্স স্বীকার করেছেন যে নারীবাদ এই “ঘনিষ্ঠতার রূপান্তর” এর সূচনা করেছিল, এবং নারী, সমকামী ও লেসবিয়ান দম্পতিরা এই উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের অগ্রগামী হিসাবে গড়ে উঠেছে। তিনি একটি চূড়ান্ত “ঘনিষ্ঠতার গণতন্ত্রীকরণ” এর চিত্র তুলে ধরেছেন, যা সমাজের জন্য আমূল সম্ভাবনা রাখে, যার সাথে অন্তর্ভুক্ত আমাদের জীবনযাপনের মৌলিক অগ্রাধিকারগুলির পুনর্বিন্যাস। তিনি লিখেন-
“ঘনিষ্ঠতার রূপান্তরের আমূল/radical সম্ভাবনা খুবই বাস্তব। কেউ কেউ দাবি করেছেন যে ঘনিষ্ঠতা নিপীড়নমূলক হতে পারে এবং স্পষ্টতই এটি এমন হতে পারে যদি এটি ধ্রুবক মানসিক ঘনিষ্ঠতার দাবি হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে, equal/সমানের মধ্যে একটি লেনদেনমূলক/transactional আলোচনা হিসাবে, এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন আলোতে প্রদর্শিত হয়। ঘনিষ্ঠতা বলতে বোঝায় আন্তঃব্যক্তিক ডোমেনের একটি পাইকারি গণতন্ত্রীকরণ, এমনভাবে যা জনসাধারণের ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এছাড়াও আরো implications আছে। ঘনিষ্ঠতার রূপান্তর সামগ্রিকভাবে আধুনিক প্রতিষ্ঠানের উপর একটি বিধ্বংসী প্রভাব রাখতে পারে। একটি সামাজিক বিশ্বের জন্য, যেখানে মানসিক পরিপূর্ণতা (emotional fulfilment) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপরে প্রাধান্য পায়, আমাদের বর্তমান জ্ঞান থেকে খুব আলাদা হবে।” ((Giddens, Anthony. p.3 The Transformation of Intimacy: Sexuality, Love, and Eroticism in Modern Societies. (1992) Cambridge: Polity, 2013.)) ((Petra Bueskens, (2020) p.277–278 Germaine Greer’s On Rape revisited: clarifying the long-standing relationship between rape and heterosexual pleasure, Hecate))
Sexual Orientation
মানুষের প্রতি একজন ব্যক্তির শারীরিক, রোমান্টিক, এবং/অথবা মানসিক আকর্ষণের স্থায়ী প্যাটার্ন। Sexual Orientation (যৌন অভিমুখিতা) বিষমকামী (straight), লেসবিয়ান, Gay, Bisexual, Queer, Asexual এবং অন্যান্য পরিচয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।((Sexuality fandom))
The Heterosexual-Homosexual Continuum
Heterosexual
নিজের লিঙ্গ ব্যাতিত মানুষের প্রতি মানসিক, রোমান্টিক এবং/অথবা যৌন আকর্ষণের একটি স্থায়ী প্যাটার্ন।((Sexuality fandom))
Homosexual
সমলিঙ্গ মানুষের প্রতি মানসিক, রোমান্টিক এবং/অথবা যৌন আকর্ষণের একটি স্থায়ী প্যাটার্ন।((Sexuality fandom))
Gay
সমকামী পুরুষদের সাধারণত Gay বলা হয়, কিন্তু অনেক নারী, যারা সমলিঙ্গ প্রেমী Gay হিসাবেও পরিচয় দেন।((Sexuality fandom))
Lesbian
সমলিঙ্গ প্রেমী নারীদের সাধারণত Lesbian বলা হয়।((Sexuality fandom))
Queer
যেসব মানুষ Heterosexual এবং Cisgender নয়, তাদের জন্যে Queer একটি সাধারণ আমব্রেলা টার্ম। যদিও শব্দটি অপমান হিসাবে ব্যবহার করা হতো, Queer শব্দটি বর্তমানে LGBTQ সম্প্রদায় দ্বারা শনাক্তকারী হিসাবে স্বীকৃত।((Sexuality fandom))
The Bisexual sub-spectrum
Bisexual
একটার থেকে বেশি লিঙ্গের প্রতি মানসিক, রোমান্টিক এবং/অথবা যৌন আকর্ষণের একটি স্থায়ী প্যাটার্ন। Bisexual মানুষ দুটি লিঙ্গে আকর্ষিত হতে পারে, অথবা দুটার থেকে বেশি। এটি একটি আমব্রেলা টার্ম যার মধ্যে বেশ কয়েকটি যৌন পরিচয় রয়েছে, যেমন- Omnisexual, anthrosexual, ইত্যাদি।((Sexuality fandom))
Polysexual
Polysexual হলো একটার থেকে বেশি লিঙ্গের মানুষের প্রতি আকর্ষণের একটি সাধারণ আমব্রেলা টার্ম। এটি নিজেও একটি পরিচয় হতে পারে।((Sexuality fandom))
Androbisexual
এক ধরণের আংশিক Bisexual । Androbisexual মানুষ দুটো বা দুটোর বেশি লিঙ্গের মানুষের প্রতি আকর্ষিত হতে পারে, তবে প্রধানভাবে পুরুষ/পুরুষত্বের প্রতি।((Sexuality fandom))
Pansexual
সকল লিঙ্গের মানুষের প্রতি মানসিক, রোমান্টিক এবং/অথবা যৌন আকর্ষণের একটি স্থায়ী প্যাটার্ন। Pansexual মানুষ সকল লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতে পারেন। কিছু Pansexual মানুষের আকর্ষণ কোনো ভাবে লিঙ্গের উপরে নির্ভর করে না বরং সম্পূর্ণভাবে সেই মানুষের personality-এর উপরে।((Sexuality fandom))
Anthrosexual
Anthrosexual অর্থাৎ লিঙ্গের প্রতি অন্ধ। Anthrosexual মানুষের আকর্ষণে লিঙ্গ বা লিঙ্গ পরিচয় কোনো ভূমিকা রাখে না। Anthro- Humanoid, Humanlike, etc. ((Sexuality fandom))
Omnisexual
Pansexual-এর পরিবর্তে, Omnisexual মানুষ সকল লিঙ্গের মানুষের প্রতি আকর্ষিত হতে পারে, তবে এখানে তাদের নির্ধিষ্ট পছন্দ/ থাকতে পারে। Omnisexual একটি gender-blind sexuality নয়।((Sexuality fandom))
Penultisexual
নিজের লিঙ্গ ব্যাতিত হকল লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ। যেমন- Demigender হয়ে Demigender ছাড়া সকল লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করা।((Sexuality fandom))
আকর্ষণ এবং আকর্ষণের অভাব
Aequesexual
Aequesexual হলো অন্যদের প্রতি অত্যন্ত শক্তিশালী যৌন আকর্ষণ অনুভব করা ব্যক্তিদের বোঝায়। তারা যৌন অভিজ্ঞতাকে মূল্য দেয়, কখনও কখনও রোমান্টিক সম্পর্কের চেয়েও বেশি। Aequesexual অন্যান্য পরিচয়ের সাথে যুক্ত থাকতে পার। Aequesexual মানুষ Heterosexual এবং Aequesexual হতে পারে, বা Homosexual এবং Aequesexual-ও হতে পারে।((Sexuality fandom))
Apothisexual
Apothisexual এমন লোকদের বোঝায় যারা সেসব যৌন ক্রিয়াকলাপের দ্বারা বিতাড়িত/repulsed হয়, যা তাদের নিজেদের সাথে জড়িত। কিছু Apothisexual মানুষ অন্যদের যৌন কাজ দেখে যৌন আনন্দ বোধ করতে পারেন, তবে অনেক Apothisexual মানুষ সম্পূর্ণভাবে যৌনতাকে ঘৃণা করে। Apothisexual মানুষ সাধারণত যৌন সম্পর্ক খুঁজে না।((Sexuality fandom))
Non-Binary Sexualities
Androsexual
Androsexual বলতে বোঝায় সেসব মানুষ যারা পুরুষ/পুরুষত্বের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন। এই শব্দটি Non-Binary মানুষদের দ্বারা ব্যবহৃত হতে পারে, যদি তারা “Heterosexual” বা “Homosexual” ব্যবহার করতে চায় না।((Sexuality fandom))
Agynosexual
Agynosexual বলতে বোঝায় সেসব মানুষ যারা নারী/নারীত্বের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন। এই শব্দটি Non-Binary মানুষদের দ্বারা ব্যবহৃত হতে পারে, যদি তারা “Heterosexual” বা “Homosexual” ব্যবহার করতে চায় না।((Sexuality fandom))
Androgynosexual
যারা পুরুষ এবং নারী উভয়ের উপরে আকর্ষণ অনুভব করেন, বিশেষ করে Androgynous মানুষের প্রতি। এটি Bisexual sub-spectrum-এর অংশ।((Sexuality fandom))
Finsexual
Finsexual বলতে বোঝায় এমন মানুষদের যারা সেসব মানুষের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন যারা Feminine in Nature (FIN)। Agynosexual-এর পরিবর্তে, Finsexual শব্দটি ট্রান্সজেন্ডার নারীদের প্রতি আকর্ষণ-ও অন্তর্ভুক্ত করে। Femmesexual হিসাবেও পরিচিত, যদিও তা Non-Binary মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করে।((Sexuality fandom))
Minsexual
Minsexual বলতে বোঝায় এমন মানুষদের যারা সেসব মানুষের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন যারা Masculine in Nature (MIN)। Androsexual-এর পরিবর্তে, শব্দটি ট্রান্সজেন্ডার পুরুষদের প্রতি আকর্ষণ-ও অন্তর্ভুক্ত করে। Mascusexual হিসাবেও পরিচিত, যদিও তা Non-Binary মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করে।((Sexuality fandom))
Ninsexual
Ninsexual বলতে বোঝায় এমন মানুষদের যারা সেসব অমানুষের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন যারা Non-Binary in Nature (NIN)। মূলত, Non-Binary মানুষের প্রতি আকর্ষণ। Narysexual, Ceterosexual, Neusexual এবং Avansexual হিসাবেও পরিচিত ।((Sexuality fandom))
নিজের প্রতি আকর্ষণ
Autosexual
Autosexual হলো নিজের প্রতি আকর্ষণ রাখা। যেমন, শুধুমাত্র নিজেদের স্পর্শের মাধ্যমে আনন্দ অনুভব করা, কিন্তু অন্যদের সাথে সংযোগের মাদ্ধমে নয়। Autosexual মানুষ অন্যদের প্রতি আকর্ষণ রাখতে পারে, কিন্তু তাদের সাথে যৌন সংযোগে কোনো আনন্দ অনুভব করেন না। Autosexuality-কে Self-Love হিসাবে দেখা যেতে পারে।((Sexuality fandom))
Fluid Sexualities
Mutosexual
Mutosexual হলো নমনীয় যৌনতা যেখানে আকর্ষণ দিনে দিনে পরিবর্তন করে। যেমন, একদিন নারীদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করা এবং আরেকদিন non-binary মানুষের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করা।((Sexuality fandom))
Novosexual
Novosexual হলো এমন ব্যক্তি যাদের যৌন আকর্ষণ তাদের লিঙ্গ পরিচয়ের সাথে পরিবর্তন করে। পরিবর্তনের duration এবং frequency মানুষে মানুষে vary করে।((Sexuality fandom))
Sansexual
Sansexual হলো এমন ব্যক্তি যাদের আকর্ষণ randomly পরিবর্তন করে। এই পরিচয়টি অত্যন্ত নমনীয় এবং আকর্ষণের কোনো trend-line দেখা যায় না।((Sexuality fandom))
The Asexual Spectrum
Asexual
“Asexualitydotorg-এ বড় অক্ষরে, এ বিবৃতিটি রয়েছে: “Asexual ব্যক্তি এমন একজন ব্যক্তি যিনি যৌন আকর্ষণ অনুভব করেন না।”
যদিও এই বিবৃতিটি Asexual-কে বর্ণনা করার জন্য ব্যবহৃত একটি সাধারণ বক্তব্য, তবে আরও তথ্য এই উপরোক্ত সংজ্ঞাটির বিরোধিতা করে। বিশেষ করে Asexual সম্প্রদায়ের মধ্যে রোমান্টিক বনাম যৌন আকর্ষণ সম্পর্কে আলোচনা, Asexual ব্যক্তিদের kink বা fetish play উপভোগ করার বিষয়ে আলোচনা, এবং সেইসঙ্গে এমন লোকেদের অস্তিত্ব যারা Asexual হিসাবে চিহ্নিত করেন, কিন্তু যারা তবুও যৌন আকর্ষণ অনুভব করার দাবিও করেন, যেমনটা Grey-Asexual বা Demisexual ব্যক্তিরা করেন। উপরোক্ত সংজ্ঞাটি Asexuality Visibility and Education Network (AVEN) এর বিবৃতির সাথেও বৈপরীত্য, যে Asexuality একটি বর্ণালীতে বিদ্যমান। এই কারণে উপরোক্ত সংজ্ঞাটির একটি সাধারণ পরিবর্তন হল-
“একজন Asexual ব্যক্তি হলো এমন একজন ব্যক্তি যিনি সামান্য যৌন আকর্ষণ অনুভব করেন বা কোন যৌন আকর্ষণ অনুভব করেন না।” Asexual সম্প্রদায়ের কাছে, রোমান্টিক এবং যৌন আকর্ষণের মধ্যে একটি বিভাজন রয়েছে, যা কখনও কখনও কামুক (sensual), এবং নান্দনিক (aesthetic) আকর্ষণকে আলাদা করে আরও উপবিভক্ত (subcategories) করা হয়।
এই কারণে, AVEN-এর পৃষ্ঠাগুলি আরও শক্তিশালী সংজ্ঞা দেওয়ার উদ্দেশ্যে Asexuality-এর বিভিন্ন “মডেল” প্রস্তাব করে:
Dual Definition Model- Dual definition মডেলে বলা হয়েছে যে “Asexual হল এমন একজন ব্যক্তি যিনি সামান্য যৌন আকর্ষণ অনুভব করেন বা কোন যৌন আকর্ষণ অনুভব করেন না এবং নিজেকে Asexual বলে থাকেন।” এই মডেল দাবি করে যে Asexuality স্থিতিশীল নয়, কারণ “Allosexual” এবং “Asexual” এর মধ্যে বিভাজনটি অস্পষ্ট। এই কারণে, কেউ Asexual কিনা তা নির্ধারণের জন্য আত্ম-পরিচয় একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নিতকারী।
Collective Identity Model- Collective Identity মডেল বলে যে “একজন Asexual ব্যক্তি হলেন এমন কেউ যিনি নিজেকে বর্ণনা করার জন্য “Asexual” শব্দটি ব্যবহার করেন।” Asexuality-এর এই মডেলটি যৌনতাকে সম্পূর্ণরূপে সামাজিকভাবে নির্মিত হিসাবে দেখে এবং তাই যৌনতা সহজাত নয়। এই মডেল এটিও বলে যে সাম্প্রদায়িক সনাক্তকরণ হল Asexuality-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই মডেলটি David Jay দ্বারা প্রস্তাবিত হয়েছিল, যিনি AVEN এর creator.” ((Gurevitch, J. M. (2019). A Rethinking of Gray Asexuality: What do we Learn from an Undefinable Identity?.))
Aegosexual
“Aegosexuality (আগে autochorissexuality নামে পরিচিত) হল Asexuality বর্ণালীর অধীনে একটি যৌন অভিযোজন। অন্যান্য Asexual ব্যক্তিদের মতো, Aegosexuals-দের নিজেদের যৌন কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা নেই; তবে, নিজেদের পরিচয় এবং যৌন লক্ষ্য/উত্তেজনার বস্তুর মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে যৌন কল্পনা করার প্রবণতা দ্বারা তাদেরকে আলাদাপ্রাপ্ত করা হয়।” ((Sexuality fandom))
Aceflux
“Aceflux হল Asexual বর্ণালীতে একটি sexual orientation। এটি এমন একজন ব্যক্তিকে সংজ্ঞায়িত করে যার sexual orientation ওঠানামা (fluctuate) করে কিন্তু সাধারণত Asexual বর্ণালীতে থাকে। একজন Aceflux ব্যক্তি একদিন খুব দৃঢ়ভাবে Asexual বোধ করতে পারে এবং অন্য দিন কম Asexual বোধ করতে পারে, তারা মাঝে মাঝে Demisexual বা Greysexual বোধ করতে পারে। কিছু Aceflux মানুষ মনে করতে পারে যে তারা কখনও কখনও Allosexual।
Aceflux নিজে থেকেই sexual orientation হতে পারে বা অন্যান্য orientation-এর সাথে মিলিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একজন মানুষ Aceflux এবং সমকামী হতে পারে, যার অর্থ হল যখন তিনি যৌন আকর্ষণ অনুভব করেন তা শুধুমাত্র একই লিঙ্গের লোকদের প্রতি। Aceflux Abrosexual-এর সাথে ওভারল্যাপ করতে পারে, তবে পার্থক্য হল যে Abrosexual-দের লিঙ্গ পরিবর্তন হতে পারে। সাধারণত, aceflux লোকেদের জন্য যখন তারা আকর্ষণ অনুভব করে, তারা যে লিঙ্গগুলির প্রতি আকৃষ্ট হয় তা সাধারণত সমলিঙ্গ মানুষের প্রতি থাকে; শুধুমাত্র কিভাবে তারা অন্যদের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং কতটা তীব্রভাবে আকৃষ্ট হয় তা মানুষের উপর নির্ভর করে এবং পরিবর্তন হতে পারে।” ((Sexuality fandom))
Abrosexual
“Abrosexual বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝায় যার যৌনতা পরিবর্তনশীল বা তরল। উদাহরণস্বরূপ, কেউ একদিন সমকামী হতে পারে, তারপর পরের দিন Asexual হতে পারে, তারপর পরের দিন Polysexual হতে পারে। যদিও এটি সম্ভব — এবং এমনকি সাধারণ — যে একজন ব্যক্তির যৌন পরিচয় তার জীবনে পরিবর্তন করবে, একজন Abrosexual ব্যক্তির যৌনতা ঘন্টা, দিন, মাস বা বছরের মধ্যে আরও frequently পরিবর্তিত হতে পারে। তাদের inconsistent আকর্ষণের কারণে, কিছু Abrosexual মানুষ সম্পর্ক খুঁজতে বাধ্য নাও হতে পারে।
ওঠানামার timing প্রতিটি ব্যক্তির জন্য আলাদা; কিছু মানুষের জন্য ওঠানামা অনিয়মিত হতে পারে এবং অন্যদের জন্য নিয়মিত হতে পারে। এবং যেসব যৌন পরিচয়ের মধ্যে ওঠানামা করে, তাও পরিবর্তিত হতে পারে। কিছু Abrosexual মানুষ সমস্ত যৌন পরিচয়ের মধ্যে তরল হতে পারে, অন্যরা শুধুমাত্র কয়েকটির মধ্যে তরল হতে পারে।
Abrosexual-এর রোমান্টিক সমতুল্য হল Abroromantic (বা Abromantic)। Abrosexuality কখনও কখনও অযৌন বর্ণালীর অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়। Resexual Abrosexual-এর ছত্রছায়ায় থাকে, কিন্তু আরো ঘন ঘন fluctuations হয়।” ((Sexuality fandom))
Abnosexual
“Abnosexuality হল আকর্ষণের প্রবাহ, হয় যৌন, রোমান্টিক বা platonic। উদাহরণস্বরূপ, আপনি এমন একজনের প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করতে পারেন যাকে আপনি দীর্ঘকাল ধরে কেবলমাত্র platonic ভাবে দেখেছেন, তারপর অনির্দিষ্ট সময়ের পরে আরও একবার তাদের প্রতি platonic ভাবে আকৃষ্ট বোধ করবেন। এই যৌনতা Abrosexual এবং Asexual স্পেকট্রামের অধীনে পড়ে, তবে উভয়ের সাথে Abnosexual-এর বিভ্রান্ত করা উচিত নয়। এটাও মনে রাখা জরুরী যে এই যৌনতা লিঙ্গের উপর নির্ভর করে না, তাই একজন একই সাথে বিষমকামী এবং abnosexual হতে পারে।” ((Sexuality fandom))
Lithosexual
“Lithosexual (Akoisexual-ও বলা হয়) হল Asexual বর্ণালীতে একটি Sexual Orientation। Lithosexual কেউ যৌন আকর্ষণ অনুভব করতে পারে কিন্তু এটির প্রতিদান চায় না। একজন Lithosexual ব্যক্তির জন্যে, তাদের প্রতি যে অন্যরা যৌনভাবে আকৃষ্ট হবে- এই চিন্তায় তারা অস্বস্তিকর বোধ করতে পারে, অথবা তারা তাদের যৌন অনুভূতি সম্পূর্ণভাবে হারাতে পারে যদি তারা জানতে পারে যে এটির প্রতিদান দেওয়া হয়েছে। এই কারণে, Lithosexual-রা যৌন সম্পর্ক খুঁজতে বাধ্য বোধ করে না।
Lithosexual নিজেই একটি sexual orientation হতে পারে বা অন্যান্য Orientation-এর সাথে মিলিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ Lithosexual এবং সমকামী হতে পারে, যার অর্থ হল যখন কেউ যৌন আকর্ষণ অনুভব করে তখন এটি শুধুমাত্র একই লিঙ্গের লোকদের প্রতি।
Lithosexual-এর রোমান্টিক প্রতিরূপ হল Lithoromantic।” ((Sexuality fandom))
Akoisexual
“Akoisexual হল আকর্ষণের অনুভূতি কিন্তু আকর্ষণের প্রতিদান না চাওয়া বা প্রতিদানের সময় আকর্ষণ হারানো; Lithosexual-এর বিকল্প এবং এর কম সমস্যাযুক্ত শব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
Akoisexuality-কে Asexuality-এর একটি রূপ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।” ((Sexuality fandom))
Demisexual
“Demisexuality বলতে এমন একজনকে বোঝায় যিনি শুধুমাত্র তাদের প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করেন, যাদের সাথে তারা একটি শক্তিশালী মানসিক সংযোগ গড়ে তোলে।” ((Sexuality fandom))
Fraysexual
“Fraysexual (ignotasexual নামেও পরিচিত) হল Asexual বর্ণালীতে একটি যৌন অভিযোজন। এটি এমনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যখন কেউ কেবলমাত্র তাদের প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করে যার সাথে তারা গভীরভাবে সংযুক্ত নয়, এবং সেই মানুষকে ব্যাক্তিগতভাৱে জানার সাথে সাথে সেই আকর্ষণ হারিয়ে ফেলে। Fraysexual প্রায়ই “Demisexual এর বিপরীত” হিসাবে বর্ণনা করা হয়।” ((Sexuality fandom))
Coeosexual
“Coeosexuality হল একটি sexual orientation যেখানে আপনি কারো প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করেন শুধুমাত্র যদি আপনি প্রথমবার তাদের সাথে দেখা করার পরে সেই অনুভূতি বোধ করেন এবং এটি “প্রথম দর্শনে প্রেম” ধারণার অনুরূপ।
Coeosexual লোকেরা রোমান্টিক বা যৌন অনুভূতি বোধ করতে পারে যাদের সাথে তারা আগে দেখা করেনি, যদিও এই অনুভূতিগুলি ক্ষণস্থায়ী হতে পারে, বা সম্পর্ক নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। Coeosexual মানুষরা এমন লোকদের প্রতি তীব্র crush থাকতে পারে, যাদেরকে তারা খুব কমই জানেন। এই আকর্ষণ বোধ বছরের পর বছর ধরে একজন ব্যক্তির পোষণ করা আকর্ষণের মতো তীব্র হতে পারে। Coeosexual লোকেরা প্রায়শই হতাশ হয় যদি তাদের ভালোবাসার লোকেরা তাদের ভালোবাসাকে প্রতিদান না করে। যখন তারা কারও প্রতি আকর্ষণ তৈরি করে, তখন এটির চলে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম, এবং যদি তা হয় তবে এটি Fraysexuality হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
Coeosexual, Demisexual-এর মতোই, অযৌন বর্ণালীতে পড়ে এবং মূলত Demisexual-এর বিপরীত।
Coeosexual শব্দটি ল্যাটিন শব্দ “Coeo” থেকে এসেছে, যার অর্থ “Meet, Unite, or Have Connection।”” ((Sexuality fandom))
Burstsexual
“Burst বা Burstsexual/Burstromantic হল Asexual বর্ণালীর একটি পরিচয় যেখানে একজন সাধারণত সম্পূর্ণরূপে Asexual বা Aromantic কিন্তু যারা মাঝে মাঝে আকস্মিক, সংক্ষিপ্ত আকর্ষণ অনুভব করেন। এটি arospike/acespike-এর জন্য একটি বিকল্প শব্দ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এটি অন্যান্য পরিচয়ের সাথে মিলিত হতে পারে।” ((Sexuality fandom))
Caesesexual
“Asexual বর্ণালীতে একটি পরিচয় যেখানে যৌন আকর্ষণ কখনও কখনও কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়।” ((Sexuality fandom))
Proculsexual
“Proculsexual হল Asexual বর্ণালীতে এমন একটি পরিচয় যা এমন কাউকে বর্ণনা করে যে শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিদের প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করে, যাদের সাথে তারা নিশ্চিত যে তারা কখনই সম্পর্কের মধ্যে জড়িত হতে পারবে না, যেমন কাল্পনিক চরিত্র, celebrity বা এমন ব্যক্তিদের, যারা কখনই তাদের অনুভূতির প্রতিদান দেবে না। Fictosexual Proculsexual-এর ছত্রছায়ায় পড়ে। অনেক Asexual ব্যক্তি celebrity বা কাল্পনিক চরিত্রের সাথে সম্পর্ক নিয়ে কল্পনা করতে পারে, তবে proculsexual বলতে এমন ব্যক্তিদের বোঝায় যারা দীর্ঘ সময়ের জন্য এই ব্যক্তিদের প্রতি প্রবল আকর্ষণ অনুভব করে; তাদের সাথে সম্পর্কে দিবাস্বপ্ন দেখার পরিবর্তে, এবং শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে যাদের সাথে তারা সম্পর্কে জড়িত হতে পারবে না। যখন তারা জানতে পারে যে একটি সম্পর্কে থাকা বাস্তবসম্মত, তখন আকর্ষণ ম্লান হতে পারে বা সম্পূর্ণভাবে চলে যেতে পারে। এর রোমান্টিক প্রতিরূপ proculromantic।” ((Sexuality fandom))
Fictosexual
“Fictosexual হল Asexual বর্ণালীর একটি পরিচয় যেটা তাদের জন্যে যারা বেশিরভাগ সময় কাল্পনিক চরিত্রের প্রতি আকৃষ্ট হন। এটি যে কোনো কাল্পনিক চরিত্র হতে পারে।
যাদের যৌনতা কাল্পনিক চরিত্র দ্বারা প্রভাবিত হয়, অথবা যারা কাল্পনিক চরিত্র বা সাধারণ ধরনের কাল্পনিক চরিত্রের প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করে, এমন ব্যক্তিদের জন্য Fictosexuality একটি umbrella term।
Anime চরিত্রগুলির প্রতি একচেটিয়া আকর্ষণকে Animesexuality বলা হয়, যা Fictosexual Umbrella-এর অধীনে অবস্থিত।
“Fictosexual” Umbrella-এর মধ্যে পড়া অন্যান্য পদগুলি হল:
* Cartosexual — কার্টুন/কমিক চরিত্রের প্রতি আকর্ষণ।
* Booklosexual — উপন্যাস/ভিজ্যুয়াল উপন্যাসের চরিত্রের প্রতি আকর্ষণ।
* Visualnovelsexual — ভিজ্যুয়াল উপন্যাসের চরিত্রের প্রতি আকর্ষণ।
* Gamosexual — ভিডিও গেমের চরিত্রগুলির প্রতি আকর্ষণ।
* Imagisexual — কাল্পনিক চরিত্রগুলির প্রতি আকর্ষণ যা কেউ কখনই দেখতে পায় না (বইয়ের চরিত্র, Podcast চরিত্র ইত্যাদি)
* Inreasexual — লাইভ-অ্যাকশন টিভি শো/সিনেমার চরিত্রের প্রতি আকর্ষণ।
* OCsexual — Original চরিত্রের প্রতি আকর্ষণ।
* Teratosexual — Monster-সম্পর্কিত চরিত্রগুলির প্রতি আকর্ষণ।
* Tobusexual — Vampire-সম্পর্কিত চরিত্রের প্রতি আকর্ষণ।
* Spectrasexual — ভূত-সম্পর্কিত চরিত্রের প্রতি আকর্ষণ।
* Nekosexual — Neko-সম্পর্কিত চরিত্রগুলির প্রতি আকর্ষণ।
* Anuafsexual — অন্যান্য প্রাণী এবং মানুষের হাইব্রিড চরিত্রের প্রতি আকর্ষণ।
* Multifictino — একচেটিয়া কাল্পনিক আকর্ষণের মিশ্রণ। উদাহরণ: অ্যানিমে এবং কার্টুন চরিত্রগুলির প্রতি একচেটিয়াভাবে আকৃষ্ট হওয়া।” ((Sexuality fandom))
Graysexual/Greysexual
“যারা সীমিত যৌন আকর্ষণ অনুভব করে। অন্য কথায়, তারা খুব কম যৌন আকর্ষণ অনুভব করে বা কম তীব্রতার সাথে যৌন আকর্ষণ। এটি Gray-Asexuality, Gray-A বা Gray-Ace নামেও পরিচিত।” ((Sexuality fandom))
Iculasexual
“Iculasexual হচ্ছে Asexual কিন্তু যিনি যৌন আচরণে লিপ্ত হতে উন্মুক্ত।” ((Sexuality fandom))
Sapiosexual
“একটি sexual orientation যেখানে প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য যা একজনকে আকর্ষণীয় বলে গড়ে তোলে, তা হল চেহারা বা শরীরের পরিবর্তে বুদ্ধিমত্তা। এটি সাধারণত Asexual-বর্ণালীর Orientation-এর সাথে হাতে-কলমে যায়।”((Sexuality fandom))
Asexual মানুষের বৈচিত্র্য
“Asexual-কে ব্যাপকভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় এভাবে যে কারো প্রতি যৌন আকর্ষণের অভাব বা অন্যের সাথে যৌনতার প্রতি অনাগ্রহ।((Bogaert, 2004, 2006; Brotto, Yule, & Gorzalka, 2015; Decker, 2015)) প্রথমে Kinsey, Pomeroy এবং Martin (১৯৪৮) দ্বারা “গ্রুপ X” হিসাবে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছিল, তবে একটি জাতীয় সম্ভাব্যতার নমুনার মধ্যে Bogaert-এর (২০০৪) বিশ্লেষণ না হওয়া পর্যন্ত Asexuality খুব কম একাডেমিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। সাধারণ জনসংখ্যার প্রাদুর্ভাবের অনুমান এখন ব্রিটিশ জনসংখ্যার ০.৪% থেকে ফিনিশ (Finnish) মহিলাদের মধ্যে ৩.৩% পর্যন্ত। ((Aicken, Mercer, & Cassell, 2013; Bogaert, 2004, 2013; Höglund, Jern, Sandnabba, & Santtila, 2014)) এটি উল্লেখ করা উচিত যে একটি বিশিষ্ট অনলাইন Asexual সম্প্রদায় রয়েছে, যা Asexuality Visibility and Education Network (AVEN) এর মাধ্যমে বিদ্যমান, এবং যা Asexual অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে, Asexual বুঝতে চাওয়া ব্যক্তিদের শিক্ষা প্রদান করতে এবং Asexuality-এর সাথে সম্পর্কিত সর্বজনীন stigma কমাতে তৈরি করা হয়েছে৷
AVEN-এর ওভারভিউ পৃষ্ঠাটি Asexuality সম্পর্কে এটি বলে: “Asexual সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক, আকর্ষণ এবং উত্তেজনা সহ যৌনতার সাথে জড়িত চাহিদা এবং অভিজ্ঞতার মধ্যে যথেষ্ট বৈচিত্র্য রয়েছে।” এই শব্দগুচ্ছটি Asexual পরিচয়ের মধ্যে সমৃদ্ধ বৈচিত্র্যকে ক্যাপচার করে, এবং এই বিস্তৃত সংজ্ঞাটি গবেষকদের বৈচিত্র্যের প্রশংসা করার জন্য আমন্ত্রণ জানায়, যার মধ্যে একজনের Asexual হিসাবে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার ইচ্ছা এমনকি Asexual হওয়ার একটি নির্দিষ্ট বর্ণনার সাথে সম্পূর্ণরূপে পরিচয় না করেও। ((Scherrer, 2008)) আরও, Asexual সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন পরিচয় বর্ণনা করতে ব্যবহৃত শব্দগুলো (যেমন, ডেমিসেক্সুয়াল, গ্রে-অলেক্সুয়াল, বা গ্রে-এ, ইত্যাদি) অনির্দিষ্ট, বিকশিত এবং অত্যন্ত ব্যক্তিগত। যদিও এটি একটি গোষ্ঠীর অভিজ্ঞতার উপর গবেষণা চালানোর চেষ্টা করার সময় চ্যালেঞ্জ তৈরি করে, এটি তুলনামূলকভাবে কম অধ্যয়ন করা গোষ্ঠীর অভিজ্ঞতাগুলি অধ্যয়ন করার চেষ্টা করার সময় বৃহত্তর পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার পরামর্শ দেয়।” ((Antonsen, A. N., Zdaniuk, B., Yule, M., & Brotto, L. A. (2020). Ace and aro: understanding differences in romantic attractions among persons identifying as asexual. Archives of Sexual Behavior, 49(5), 1615–1630.))
Asexual মানুষ কি যৌন উত্তেজনা অনুভব করতে পারে?
কিছু Asexual মানুষ যৌন উত্তেজনার পাশাপাশি যৌন আনন্দও অনুভব করতে পারে orgasm-এর মাধ্যমে।
যৌন আকর্ষণ বনাম যৌন আকাঙ্ক্ষা/ইচ্ছা
“যৌন আকর্ষণের অভাবকে কেন্দ্র করে এমন একটি সংজ্ঞা ব্যবহার করলে Asexual ব্যক্তিদের যৌন আকাঙ্ক্ষা/ইচ্ছার অভাব বোঝায় না। যৌন আকাঙ্ক্ষা বলতে বোঝায় যৌন উদ্দীপনার ইচ্ছা (সম্ভাব্যভাবে orgasm সহ) এবং এতে অংশীদারী এবং অ-অংশীদারী উদ্দীপনা (যেমন, হস্তমৈথুন) উভয়ই অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। তবে এটি উল্লেখযোগ্য যে, Asexuality-এর একটি alternative কিন্তু সম্পর্কিত সংজ্ঞা হলো যৌন আকাঙ্ক্ষা/ইচ্ছার অভাব। উদাহরণস্বরূপ, Prause & Graham (২০০৭) প্রমাণ পেয়েছে যে অনেক স্ব-পরিচিত Asexual মানুষ যৌন ইচ্ছা খুব কম মাত্রায় (বা এর অনুপস্থিতি) রিপোর্ট করে।
আকর্ষণ এবং আকাঙ্ক্ষার মধ্যে জটিল সম্পর্ক নিয়ে আরও গবেষণা করা দরকার, ((Bogaert, 2013; Chasin, 2011)) কিন্তু সাম্প্রতিক প্রমাণ এবং তত্ত্ব পরামর্শ দেয় যে Asexuality-এর মধ্যে আকাঙ্ক্ষার অভাব প্রাথমিকভাবে অন্যদের প্রতি আকাঙ্ক্ষার অভাব হতে পারে — আকাঙ্ক্ষার নিজস্ব অভাব নয়; এবং এইভাবে, যৌন আকর্ষণের অভাব, অর্থাৎ অন্যদের প্রতি আকাঙ্ক্ষার অভাব Asexuality-এর একটি সংজ্ঞায়িত বৈশিষ্ট্য হতে পারে। ((Brotto et al. 2010; Chasin, 2011; Van Houdenhove, Gijs, T’Sjoen,, & Enzlin, 2014)) সংক্ষেপে, যখন Asexual ব্যক্তিদের মধ্যে আকাঙ্ক্ষার একটি রূপের প্রমাণ পাওয়া যায়, তখন এটি প্রায়শই একটি “একাকী/solitary” আকাঙ্ক্ষা — এমন একটি ইচ্ছা যা অন্যদের সাথে সংযোগহীন (unconnected) বা একটি অংশীদারহীন ইচ্ছা। উদাহরণস্বরূপ, এমন প্রমাণ রয়েছে যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক Asexual মানুষ হস্তমৈথুন করে (যেমন, Bogaert, 2013; Brotto et al., 2010)), এবং এইভাবে Asexual লোকেদের মধ্যে সব ধরনের যৌন ইচ্ছার অভাব নাও থাকতে পারে। […]
যৌন আকর্ষণের অভাব (বা অন্যদের প্রতি যৌন আকাঙ্ক্ষার অভাব) হিসাবে Asexuality-এর সংজ্ঞা অগত্যা বোঝায় না যে Asexual ব্যক্তিদের শারীরিক যৌন উত্তেজনার অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে। Asexual ব্যক্তিদের মধ্যে উত্থান (erection) এবং যোনি তৈলাক্তকরণের (vaginal lubrication) ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে অক্ষত থাকতে পারে। ((e.g., Brotto & Yule, 2011)) উদাহরণস্বরূপ, একজন Asexual ব্যক্তি ইঙ্গিত করেছেন: ‘‘আমি সরঞ্জাম পরীক্ষা করেছিলাম। . . এবং সবকিছু ঠিকঠাক, আনন্দদায়ক এবং সব কাজ করে; তবে এটা আসলে কোনো কিছুর প্রতিই আকৃষ্ট হয় না।”” ((Brotto et al., 2010, p. 612)) ((Bogaert, A. F. (2015). p.3–4 Asexuality: What it is and why it matters. Journal of sex research, 52(4), 362–379.))
Asexual ব্যক্তিরা কীভাবে যৌন উত্তেজনা অনুভব করে?
Sex Without The Ego
“Brotto et al খুঁজে পেয়েছেন যে ৮০% স্ব-পরিচয়প্রাপ্ত অযৌন পুরুষ এবং ৭০% স্ব-পরিচয়প্রাপ্ত Asexual নারী হস্তমৈথুন করেছেন বলে রিপোর্ট করেছেন। ব্রিটেনের একটি জাতীয় নমুনা ব্যবহার করে, Bogaert দেখেছেন যে প্রায় ৪০% মানুষ, যারা অন্যদের প্রতি কোন যৌন আকর্ষণের কথা জানায়নি, গত মাসে হস্তমৈথুন করেছে। এইভাবে, Asexual মানুষের একটি উল্লেখযোগ্য শতাংশ হস্তমৈথুন করেন। এটি মানুষের কল্পনা বা পর্নোগ্রাফি ব্যবহারে সামঞ্জস্যপূর্ণ থিমগুলিতে আত্ম-উদ্দীপনা ঘটার সম্ভাবনা বাড়ায়।
Brotto et al (২০১০) এছাড়াও প্রত্যক্ষ প্রমাণ দিয়েছে যে কিছু Asexual মানুষের যৌন কল্পনা/fantasy আছে। তবে, এই ফ্যান্টাসির বিষয়বস্তু তদন্ত করা হয়নি। Asexual মানুষের কল্পনায় বিষয়বস্তু/থিমের প্রমাণ পাওয়া যায় Asexuality Visibility and Education Network (AVEN) থেকে, যা Asexuality-এর প্রতি নিবেদিত সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। […]
একজন AVEN অংশগ্রহণকারী রিপোর্ট করেছেন: “আমি প্রায়ই কাল্পনিক চরিত্রের কথা ভাবি। আমার চিন্তাধারা আমার পরিচিত লোকেদের কখনোই জড়িত করেনি এবং কখনো আমাকে জড়িত করেনি।” ((ViciousTrollop, 2005))
অন্য একজন বলেছেন: “এগুলি হলো তৃতীয় ব্যক্তির দৃশ্য; আমার একটি সাধারণ পুরুষ চরিত্র থাকতে পারে যা আমার মতো, তবে এটি এখনও আমার থেকে আলাদা, যেখানে অংশগ্রহণ করার পরিবর্তে মানসিকভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।” ((Teddy Miller, 2005))
অন্য একটি রিপোর্ট: “পয়েন্টটি voyeurism নয়: দৃশ্যটি আমাকে উত্তেজিত করে না কারণ আমি এটিকে দেখছি; দৃশ্যটি আমাকে উত্তেজিত করছে কারণ এটি যৌনভাবে অভিযুক্ত (এবং আমি একটি আবেগপূর্ণ জোঁকের মতো আচরণ করছি)৷ আমার এমন একটি চরিত্র থাকতে পারে যার সাথে আমি নিজেকে পরিচয় করি…কিন্তু চরতীরটি আমার জন্য stand-in নয়; এটি fiction/কথাসাহিত্যের একটি viewpoint চরিত্রের মতো কাজ করে।” ((Eta Carinae, 2005))
এই উদ্ধৃতিগুলির দ্বারা প্রস্তাবিত, Asexual মানুষের fantasy/কল্পনাগুলি প্রায়শই তাদের নিজস্ব পরিচয়কে জড়িত করে না। এছাড়াও, যখন তাদের fantasy/কল্পনা মানুষকে জড়িত করে, তখন এই ব্যক্তিরা sexual ব্যক্তির কাছে অজানা বা কাল্পনিক চরিত্র; উভয় ক্ষেত্রেই, এই চরিত্র/ব্যক্তিরা Asexual ব্যক্তির বাস্তব-জীবনের পরিচয়ের সাথে সরাসরি যুক্ত নয়।” ((Bogaert, A. F. (2015). p.1513–1514 Asexuality and Autochorissexualism, Identity-Less Sexuality))
Dr Anthony Boagert যৌন উত্তেজনা অনুভব করা এমন নির্দিষ্ট Asexual ব্যক্তিদের বোঝাতে “Autochorissexualism” শব্দটি তৈরি করেছিলেন। তবে, এই শব্দটি পরে বাতিল করা হয় এবং “Aegosexuality” শব্দটি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। Asexual ব্যক্তিদের যৌন কল্পনাগুলি তাদের Ego (নিজেদের) এবং তাদের যৌন কল্পনার মধ্যে একটি disconnect দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
সমকামিতা এবং মনোবিজ্ঞান
ঐতিহাসিকভাবে, মনোবিজ্ঞানে সমকামিতাকে নিম্নলিখিত দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়েছে-
প্যাথলজির তত্ত্ব
প্যাথলজির তত্ত্বগুলি প্রাপ্তবয়স্ক সমকামিতাকে একটি রোগ হিসাবে বিবেচনা করে। এটি এমন একটি অবস্থা যা “স্বাভাবিক” বিষমকামী বিকাশ থেকে বিচ্যুত হয়। অ্যাটিপিকাল লিঙ্গ আচরণ বা অনুভূতি হলো রোগের লক্ষণ। এই তত্ত্বগুলি মনে করে যে একটি বাহ্যিক, প্যাথোজেনিক এজেন্ট সমকামিতার জন্য দায়ী, এবং এই জাতীয় এজেন্টরা জন্মের আগে বা জন্মের পরে মানুষের উপরে প্রভাব রাখতে পারে (অন্তঃসত্ত্বা হরমোনের এক্সপোজার, অত্যধিক মাতৃত্ব, অপর্যাপ্ত বা প্রতিকূল পিতা, যৌন নির্যাতন, ইত্যাদি)। ((Jack Drescher (2008) A History of Homosexuality and Organized Psychoanalysis, Journal of the American Academy of Psychoanalysis and Dynamic Psychiatry, p.444)) যেমন- রিচার্ড ভন ক্রাফ্ট-ইবিং, একজন জার্মান মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, যিনি সমকামিতাকে “অবক্ষয়” স্নায়বিক ব্যাধি হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ((Jack Drescher (2015), Out of DSM: Depathologizing Homosexuality, p.568))
অপরিপক্কতার তত্ত্ব
অপরিপক্কতার তত্ত্বগুলি বিবেচনা করে যে, অল্প বয়সে সমকামিতা হলো প্রাপ্তবয়স্ক বিষমকামীতার বিবেচিত আদর্শে পৌঁছানোর একটি স্বাভাবিক পদক্ষেপ। এ দৃষ্টিভঙ্গির মতে, সমকামিতা একটি উত্তীর্ণ অবস্থান যা অতিক্রম করা উচিত। একটি “উন্নয়নমূলক গ্রেপ্তার” হিসাবে, প্রাপ্তবয়স্ক সমকামিতা হলো বৃদ্ধির স্তব্ধ।((Jack Drescher (2008) A History of Homosexuality and Organized Psychoanalysis, Journal of the American Academy of Psychoanalysis and Dynamic Psychiatry, p.444)) যারা এই তত্ত্বগুলি ধারণ করে, তারা সমকামিতাকে তুলনামূলকভাবে সৌম্য হিসাবে বিবেচনা করে; অন্ততপক্ষে “খারাপ” হিসাবে বিবেচনা করে না। ((Jack Drescher (2015), Out of DSM: Depathologizing Homosexuality p.566))
যেমন- সিগমুন্ড ফ্রয়েড। ফ্রয়েড পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে “বিশেষ করে উচ্চ বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ এবং নৈতিক সংস্কৃতি দ্বারা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে” সমকামিতা পাওয়া যেতে পারে। তার সময়ে অন্যান্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের তুলনায়, ফ্রয়েড তুলনামূলকভাবে সহনশীল ছিলেন। ((Jack Drescher (2008) A History of Homosexuality and Organized Psychoanalysis, Journal of the American Academy of Psychoanalysis and Dynamic Psychiatry, p.445))
স্বাভাবিক বৈচিত্র্যের তত্ত্ব
স্বাভাবিক পরিবর্তনের তত্ত্বগুলি সমকামিতাকে একটি প্রাকৃতিক ঘটনা হিসাবে বিবেচনা করে। ((Jack Drescher (2008) A History of Homosexuality and Organized Psychoanalysis, Journal of the American Academy of Psychoanalysis and Dynamic Psychiatry, p.444)) এই ধরনের তত্ত্বগুলি সাধারণত সমকামী ব্যক্তিদের জন্মগতভাবে আলাদা বলে মনে করে, তবে এটি একটি স্বাভাবিক বৈচিত্র্য যা বাম-বামহাতিদের মতো সমাজের সংখ্যালঘু মানুষের মধ্যে দেখা যেতে পারে। সমসাময়িক সাংস্কৃতিক বিশ্বাস যে মানুষ “জন্মগত ভাবে সমকামী” একটি স্বাভাবিক প্রকরণ। যেহেতু এই তত্ত্বগুলি সমকামীতাকে স্বাভাবিকের সাথে সমান করে, তাই তারা সমকামীতাকে “ভাল” (বা, বেসলাইনে, নিরপেক্ষ) হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে। এই ধরনের তত্ত্বগুলি একটি মানসিক ডায়গনিস্টিক ম্যানুয়াল-এ সমকামিতার জন্য কোন স্থান দেখতে পায় না। ((Jack Drescher (2015), Out of DSM: Depathologizing Homosexuality p.566))
মানুষের পরিচয়ের একটি স্বাভাবিক অংশ হিসাবে একই-লিঙ্গ আকর্ষণের ধারণাটি “homosexual” এবং “homosexuality” শব্দগুলির অনেক আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল। এই দুটি শব্দ ১৯ শতকের মাঝামাঝি ইউরোপীয় মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে-
“অনেক ইতিহাসবিদদের জন্য, সমকামিতার আধুনিক ক্রনিকল Karl Heinrich Ulrichs-এর সাথে শুরু হয়, যাকে একজন সমকামী রাজনৈতিক এক্টিভিস্ট বলা যেতে পারে। ১৮৬৪ সালে, আধুনিক যুগের প্রথম প্রকাশিত স্বাভাবিক বৈকল্পিক তত্ত্বগুলির একটি গ্রন্থের মধ্যে, তিনি প্রুশিয়ার সমকামিতার অপরাধীকরণের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট পুরুষরা তাদের দেহে আটকে থাকা নারীর আত্মা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। Ulrichs (১৮৬৪/১৯৯৪) সেই পরিস্থিতিকে “ইউরানিজম” মনোনীত করেছিলেন এবং যে ব্যক্তিরা “ইউরেনিয়ান প্রেম” অনুশীলন করতেন এবং সেসব ব্যক্তিদের “আর্নিংস” বলা হত। তিনি বিশ্বাস করতেন যে “আর্নিংস” একটি তৃতীয় লিঙ্গ গঠন করে যা পুরুষ বা মহিলা নয়।
কার্ল মারিয়া কার্টবেনি ১৮৬৯ সালের একটি রাজনৈতিক গ্রন্থে Ulrichs-এর স্বাভাবিককরণের পদ্ধতির প্রতিধ্বনি করেন এবং সমকামিতার অপরাধীকরণের বিরুদ্ধেও যুক্তি দেন। কার্টবেনি, একজন হাঙ্গেরিয়ান লেখক, “homosexual” এবং “homosexuality” শব্দটি প্রতিষ্টা করেছিলেন। ((Bullough, 1979)) তিনি এবং Ulrichs উভয়েই যুক্তি দিয়েছিলেন যে মানুষের যৌনতার একটি স্বাভাবিক পরিবর্তন হিসাবে, সমকামী আচরণগুলি অনৈতিক নয় এবং অপরাধ হিসাবে বিবেচিত করা উচিত নয়।” ((Jack Drescher (2008) A History of Homosexuality and Organized Psychoanalysis, Journal of the American Academy of Psychoanalysis and Dynamic Psychiatry, p.444))
সমকামিতা কি একটা মানসিক রোগ?
১৯৫২ সালে প্রকাশিত DSM-এর প্রথম সংস্করণে “সমকামিতা” অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, একটি যৌন বিচ্যুতি হিসাবে; “Sociopathic Personality Disturbance”-এর অধীনে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল। ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত দ্বিতীয় সংস্করণে (DSM-II) এটি পেডোফিলিয়া এবং প্রদর্শনীবাদের (exhibitionism) সাথে একটি ননসাইকোটিক মানসিক ব্যাধি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ একটি যৌন বিচ্যুতি হয়ে ওঠে। ১৯৭৩ সালে যখন DSM-II সংশোধিত হয়েছিল তখন এটিকে সম্পূর্ণরূপে একটি ব্যাধি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ সরানো হয়েছিল। ((Sean Bray (2015), Gender Dysphoria and the Problematic of Body Modification, p.426–427))
১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭৩-এ, আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে যা সমকামিতাকে একটি মানসিক রোগ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ প্রত্যাখ্যান করে এবং যৌন অভিমুখের ভিত্তিতে আইনি বৈষম্যকেও প্রত্যাখ্যান করে। কেন এই পরিবর্তন ঘটল এবং এর পিছনে যুক্তিগুলি কী ছিল?
প্রথমত, যদি সমকামিতাকে একটি “রোগ” হিসাবে বিবেচনা করা হয় তবে সমকামিতাকেও এমন একটি শর্ত হতে হবে যা diagnose করা যেতে পারে। তবে, যদি সমকামিতা একটি diagnosis-ও না হয়, তাহলে এটিকে কোনো ভাবেই একটি রোগ হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে না। এবং, সমকামিতা যদি “রোগ” হয়ে থাকে তাহলে এটাকে কোনো ভাবেই “অপ্রাকৃতিক” বলা যেতে পারে না।
ডঃ রবার্ট জে. স্টলার ছিলেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যার অধ্যাপক এবং এই সময়ে আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। ১৫ ডিসেম্বরের বিবৃতির পূর্বে, ৯ মে, ১৯৭৩-এ APA-এর বার্ষিক উৎসবে (যা কেন্দ্রীভূত হয়েছিল সমকামিতা APA নামকরণের মধ্যে থাকা উচিত কিনা) ডঃ স্টলার যুক্তি দিয়েছিলেন যে সমকামিতা একটি মানসিক রোগ নয়; এমনকি সমকামিতা একটি diagnosis-ও নয়।
আসুন আমরা নিম্নলিখিত যুক্তিটি বিবেচনা করি কেন সমকামিতা একটি diagnosis নয়-
“সমকামিতা কি একটি রোগ নির্ণয়? একটি নির্ণয়ের-এর একটি অত্যন্ত কম্প্যাক্ট ব্যাখ্যা বলে অনুমিত হয়। ওষুধের যে কোনও শাখায় সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য একটি সিনড্রোম থাকা উচিত- একদল লোকের দ্বারা ভাগ করা লক্ষণ এবং উপসর্গগুলির একটি নক্ষত্র, যা একজন পর্যবেক্ষকের কাছে দৃশ্যমান। অন্তর্নিহিত গতিবিদ্যা (প্যাথোজেনেসিস)- বাকি ওষুধে pathophysiology, neuropathophysiology বা মনোরোগবিদ্যায় psychodynamics এবং etiology- এই কারণগুলি থেকে গতিশীলতার উদ্ভব হয়। যখন এগুলি বিদ্যমান থাকে, তখন কেউ শর্টহ্যান্ড ব্যবহার করে সময় বাঁচাতে পারে, এটি জেনে যে একটি শব্দ বা দুটি — একটি লেবেল, একটি diagnosis — যা আমরা যা জানি, তা অন্যদের কাছে যোগাযোগ করে দিবে।
যদি কেউ একটি diagnosis বিবেচনা করার জন্য উপরের মানদণ্ড ব্যবহার করে, সমকামিতা একটি diagnosis নয় কারণ:
1. এটি কেবল একটি যৌন পছন্দ (যা শুধুমাত্র দৃশ্যমান কারণ সমাজ এই ধরণের পছন্দকে ভয় পায়); লক্ষণ এবং উপসর্গের একটি নক্ষত্রমণ্ডল নয়।
2. এই যৌন পছন্দের বিভিন্ন ব্যক্তিদের যৌন আচরণের অন্তর্নিহিত বিভিন্ন psychodynamics রয়েছে।
3. বেশ ভিন্ন জীবনের অভিজ্ঞতা এই dynamics এবং আচরণের কারণ হতে পারে।
সমকামী আচরণ আছে, যা বৈচিত্র্যময়। “সমকামিতা” একটা জিনিস বলে কিছু নেই। সেই অর্থে, এটি নামকরণ থেকে বাদ দেওয়া উচিত।” ((Robert J. Stoller (1973) Criteria for Psychiatric Diagnosis))
অন্যান্য APA সদস্য যেমন ড. রিচার্ড গ্রীন যুক্তি দিয়েছেন যে “সমকামিতা” একটি মানসিক ব্যাধি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যায় না কারণ depression-এর মতো অন্যান্য মানসিক ব্যাধিতে দেখা যাওয়া এমন কোনও বৈকল্যের লক্ষণ নেই। উপরন্তু, ডঃ গ্রীন যুক্তি দিয়েছিলেন যে সমকামীরা বিষমকামী মানুষদের থেকে আলাদা নয়-
“স্থূল মনস্তাত্ত্বিক সামাজিক ক্রিয়াকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে, একজন সমকামী সাধারণত তার বিষমকামী প্রতিপক্ষ থেকে আলাদা নয়। তিনি একটি দায়িত্বশীল পেশাগত এবং সামাজিক অবস্থান ধরে রাখতে পারেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, অন্যান্য চিকিৎসক, আইনজীবী, মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, লেখক, ইত্যাদি সমকামী হতে পারে। স্পষ্টতই, এখানে কোনও স্থূল প্রতিবন্ধকতা নেই, যা তীব্র schizophrenia, ম্যানিয়া বা জৈব মস্তিষ্কের সিন্ড্রোমে দেখা যায়। Intrapsychic অ্যাডজাস্টমেন্টের ক্ষেত্রে, গবেষণা যা তুলনামূলক অ-রোগী বিষমকামী এবং সমকামী নমুনা ব্যবহার করে খুঁজে পেয়েছে যে সাধারণত উদ্বেগ এবং depression-এর মতো factor-এর ক্ষেত্রে দুটি গ্রুপগুলির মধ্যে কোনও উল্লেখযোগ্য পার্থক্য খুঁজে পায় না।” ((Richard Green (1973) Should Heterosexuality be in the APA Nomenclature?))
অন্য APA সদস্য, ড. রবার্ট এল. স্পিটজার যুক্তি দেন যে “সমকামিতা” একটি ব্যাধি হিসাবে বিবেচিত হওয়ার একমাত্র উপায় হল যদি “বিষমকামীতা” একজন ব্যক্তির জন্য আদর্শিক ভিত্তিরেখা হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে, যদি “বিষমকামীতা” একটি আদর্শ হিসাবে বিবেচিত হয়, যা থেকে বিচ্যুত হওয়ার অর্থ হলো “মানসিক ব্যাধি;” তবে অন্যান্য শর্ত, যেমন ধর্মীয় গোঁড়ামি, বর্ণবাদ এবং নারী বিদ্বেষ-ও মানসিক ব্যাধি।
“স্পষ্টতই “সমকামিতা” মানসিক ব্যাধি হিসাবে বিবেচনা করার জন্য requirements পূরণ করে না, যেহেতু অনেক সমকামী তাদের যৌন অভিযোজন নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট এবং সামাজিক কার্যকারিতা বা কার্যকারিতাতে কোনও সাধারণ বৈকল্য দেখায় না। তাই সমকামিতাকে একটি মানসিক ব্যাধি হিসাবে বিবেচনা করার একমাত্র উপায় হ’ল বিষমকামীভাবে আচরণ করার ব্যর্থতার মানদণ্ড, যা আমাদের সমাজে এবং আমাদের পেশার অনেক সদস্য দ্বারা সর্বোত্তম আদর্শ বলে বিবেচিত হয়। তবে, যদি সমাজ বা পেশা দ্বারা বিচার করা জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সর্বোত্তমভাবে কাজ করার ব্যর্থতা মানসিক রোগের উপস্থিতি নির্দেশ করার জন্য যথেষ্ট; তাহলে আমাদের নামকরণে নিম্নলিখিত শর্তগুলি যোগ করতে হবে: ব্রহ্মচর্য (সর্বোত্তমভাবে যৌনভাবে কাজ করার ব্যর্থতা), বিপ্লবী আচরণ (সামাজিক নিয়মের অমান্য), ধর্মীয় গোঁড়ামি (ধর্মীয় মতবাদের প্রতি গোঁড়ামি এবং কঠোর আনুগত্য), বর্ণবাদ (কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অযৌক্তিক ঘৃণা), নিরামিষবাদ (মাংসাশী আচরণের অপ্রাকৃতিক পরিহার), এবং male chauvinism (নারীদের হীনমন্যতায় অযৌক্তিক বিশ্বাস)।” ((Robert L. Spitzer (1973) A Proposal About Homosexuality and the APA Nomenclature: Homosexuality as an Irregular Form of Sexual Behavior and Sexual Orientation Disturbance as a Psychiatric Disorder))
অতএব, যখন ধর্মীয় সমকামী বিদ্বেষীরা বিষমকামীতার মান অনুযায়ী সমকামিতাকে একটি মানসিক ব্যাধি বলে, তখন তারা প্রকৃতপক্ষে তাদের নিজস্ব ধর্মীয় গোঁড়ামিকে একটি মানসিক ব্যাধি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করার পথ উন্মুক্ত রেখে দেয়। তবে, ধর্মনিরপেক্ষ মানববাদের নীতি অনুযায়ী, এবং এমনকি বৈজ্ঞানিক মানদণ্ড অনুযায়ী, নিরামিষবাদ বা ধর্মীয় গোঁড়ামি বা সমকামিতাকে কোনোভাবেই মানসিক ব্যাধি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা সম্ভব না।
বাংলাদেশে সমকামিতা কেন অবৈধ?
বাংলাদেশর দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা একটি দমনমূলক আইন যা নির্দিষ্ট যৌন আচরণকে অপরাধীকরণের জন্য দায়ী, যেমন, পায়ুকামী। যদিও এই আইনটি বিষমকামী এবং সমকামী উভয় মানুষের বিরুদ্ধেই প্রয়োগ করা যেতে পারে, ধারা ৩৭৭ সমকামিতাকে একটি অপ্রাকৃত মানসিক রোগ বলার ভিত্তি হিসেবে সমকামী বিদ্বেষীদের দ্বারা উদ্ধৃত করা হয়। যদিও, সমস্ত প্রাসঙ্গিক বৈজ্ঞানিক প্রমাণগুলি ইঙ্গিত দেয় যে সমকামিতা একটি মানসিক ব্যাধি হতে পারে না; এবং এমনকি কিছু তাত্ত্বিকদের মতে, সমকামিতাকে একটি “diagnosis” হিসাবেও বিবেচনা করাও অসম্ভব।
সাম্প্রতিক সময়ে, ধারা ৩৭৭ একটি আলোচনার বিষয় হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে কারণ এটি বাংলাদেশে LGBTQ মানুষদের অধিকারের সাথে সম্পর্কিত, বিশেষ করে ২০১৮ সালে ভারতে ৩৭৭ ধারা বাতিল হওয়ার পরে। এই নিবন্ধটি এই অবস্থান নেয় যে ধারা ৩৭৭ একটি পশ্চাৎমুখী আইন যা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের থেকে পিছনে ঠেলে দেয়। বাংলাদেশে ধারা ৩৭৭ বাতিল করা উচিত এবং যৌন অভিমুখের উপর ভিত্তি করে বৈষম্য প্রতিরোধ এবং যৌন অপরাধ থেকে যৌন সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করা উচিত।
Han & O’Mahoney, (২০১৪) যুক্তি দেখান যে এমন আইন যা সমকামী আচরণকে অপরাধী করে, সেসব দেশেই বেশি পাওয়া যায় যেগুলি ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। তবে, শুধুমাত্র ব্রিটিশ প্রভাবই সেইসব দেশে সমকামী বিদ্বেষের অবদান রাখে — এই দাবিকে সমর্থন করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রমান নেই। এর মানে হল যে আমরা ব্রিটিশ শাসনকে দায়ী করতে পারি না সেসব দেশের বিদ্যমান সমকামী বিদ্বেষের জন্যে। কিন্তু, সমকামিতাকে অপরাধীকরণ করে এমন আইনে ব্রিটিশদের অবদান ভালোভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের দণ্ডবিধি এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ক্ষেত্রে, যা ১৮৬০ সালে ব্রিটিশদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
“ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC) ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উত্পাদিত ব্যাপক কোডিফাইড ফৌজদারি আইন, যেমনটা অন্য কোনো জায়গায় দেখা যায় না। ((Friedland, 1992, p.1172)) তাদের ‘সৈনিক এবং ঔপনিবেশিক প্রশাসকগণ — বিশেষ করে যাদের হাতে স্ত্রী নেই — এই ক্ষয়িষ্ণু, উত্তপ্ত পরিবেশে পায়ুকামীর দিকে চলে যাবে’ এই ভয়ে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য খ্রিস্টানদের ‘দুর্নীতি’ থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি আঞ্চলিক প্রথাকে সংশোধন করে সেই দেশকে আরো “খ্রিষ্টান” করার উদ্দেশ্যে IPC তৈরি করেছিল। ((Gupta, 2008, p.16)) সেই সময়ে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা প্রায়ই অনভিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, কোনো আইনি সংস্থান ছাড়াই; এবং ফৌজদারি প্রবিধানের বিদ্যমান উদাহরণ আমদানির উপর নির্ভর করতেন। এইভাবে, IPC, কুইন্সল্যান্ড পেনাল কোড অফ ১৮৯৯ (QPC) এর সাথে ব্রিটিশ উপনিবেশগুলির আইনি ব্যবস্থার মডেল হয়ে ওঠে এবং এশিয়া ও আফ্রিকা জুড়ে অন্যান্য বিভিন্ন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক অধিগ্রহণের উপর রপ্তানি ও আরোপ করা হয়। ((Morris, 1974)) ঔপনিবেশিক প্রশাসনের মাধ্যমে, ব্রিটিশরা তাদের উপনিবেশগুলিতে আইনী কোডের একটি সেট আরোপ এবং প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করতে সক্ষম হয়েছিল যা সমকামী আচরণকে অপরাধী করে তোলে।” ((Han, E., & O’Mahoney, J. (2014). British colonialism and the criminalization of homosexuality. Cambridge Review of International Affairs, 27(2), 268–288 p.6–7))
থমাস ব্যাবিংটন ম্যাকলে ছিলেন একজন দীর্ঘমেয়াদী সাম্রাজ্যবাদের প্রবক্তা, যাকে ‘সভ্যতার মিশন’ হিসেবে আইন কমিশনের নেতৃত্ব দেওয়া হয়, এবং যিনি ১৮৬০ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC) প্রণয়ন করেছিলেন। ((Hall 2009)) ভিক্টোরিয়ান খ্রিস্টান নৈতিকতার গুণাবলীতে তিনি দৃঢ় বিশ্বাসী ছিলেন। খ্রিস্টান নৈতিকতার একটি অংশ ছিল লিঙ্গ এবং যৌনতার একটি কঠোর, Anglo-কেন্দ্রিক বোঝাপড়া। ((Baudh 2013)) নতুন দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার অধীনে সুস্পষ্ট ‘দৈহিক ইচ্ছা’ হিসাবে সমলিঙ্গের আকর্ষণকে বেআইনি ঘোষণার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে খুব কম সাম্প্রদায়িক প্রতিরোধ ছিল। ((Ibtisam Ahmed (2019). Decolonizing Queer Bangladesh: Neoliberalism Against LGBTQ+ Emancipation p.102)) বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি নিম্নরূপ, যা আজ পর্যন্ত আইন হিসাবে বাংলাদেশে প্রযোজ্য-
“ধারা ৩৭৭: অপ্রাকৃতিক অপরাধ — যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় প্রকৃতির আদেশের বিরুদ্ধে কোন পুরুষ, মহিলা বা পশুর সাথে শারীরিক মিলন করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে, বা কারাদন্ডের সাথে … একটি মেয়াদের জন্য যা ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
ব্যাখ্যা — এই ধারায় বর্ণিত অপরাধের জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক মিলন গঠনের জন্য অনুপ্রবেশ যথেষ্ট।” ((The Penal Code of 1860, p.241–242))
বাংলাদেশের দণ্ডবিধিতে আজও ৩৭৭ ধারা বিদ্যমান। এই আইনের পাঠ্য থেকে বোঝা যায়, নির্দিষ্ট যৌন আচরণ (যা অনুপ্রবেশের পরিপ্রেক্ষিতে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে) আইনিভাবে দণ্ডনীয়। সমকামীদের পাশাপাশি বিষমকামীদের বিরুদ্ধেও এই আইন প্রয়োগ করা যেতে পারে। আশ্চর্যজনকভাবে, যে দেশ এই আইনটি প্রণয়ন করেছিল, অর্থাৎ, ইউনাইটেড কিংডম, ১৯৬৭ সালে পায়ুকামীতাকে বৈধ ঘোষণা করে।
“ইউনাইটেড কিংডমে, ১৯৬৭ সালে যৌন অপরাধ আইনে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে পায়ুকামীতাকে প্রথমবারের মতন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল এবং তারপরে ১৯৮০ সালে স্কটল্যান্ড এবং ১৯৮২ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ডে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, লরেন্সে সুপ্রিম কোর্টের রায় না হওয়া পর্যন্ত চৌদ্দটি রাজ্যে পায়ুকামীর বিরুদ্ধে আইন ছিল; ২০০৩ সালের সুপ্রিম কোর্টের লরেন্স v. টেক্সাস রায় পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্স এবং ইন্টারসেক্স অ্যাসোসিয়েশন (ILGA) অনুসারে ২০১১ সালে বিশ্বের ৭৬-টি দেশে সমকামী আচরণ এখনও পর্যন্ত অপরাধ হিসাবে বিদ্যমান। এই আইনগুলির বেশিরভাগই male-on-male যৌন সম্পর্ককে লক্ষ্য করে, যেখানে শুধুমাত্র কয়েকটি দেশ female-on-female যৌন সম্পর্ককে অপরাধী করে। ILGA দ্বারা প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, সমকামী আচরণের জন্য বিভিন্ন ধরণের শাস্তি রয়েছে: জরিমানা বা নিষেধাজ্ঞা, বা দণ্ড শ্রম, কারাদণ্ড এবং মৃত্যুদণ্ড।” ((Han, E., & O’Mahoney, J. (2014). British colonialism and the criminalization of homosexuality. Cambridge Review of International Affairs, 27(2), 268–288 p.4))
ধারা ৩৭৭- একটি পশ্চাৎমুখী আইন
মানবাধিকার কি? এগুলি হল আন্তর্জাতিক চুক্তিতে আবদ্ধ আইন যা বিভিন্ন রাষ্ট্র স্বাক্ষর করে এবং আবদ্ধ হতে সম্মত হয়।
“যদিও Universal Declaration of Human Rights-এ (UDHR) স্পষ্টভাবে যৌন অভিমুখীতা বা লিঙ্গ পরিচয়ের কথা উল্লেখ করে না, ১৯৯৪ সালে UNHRC এর পূর্ববর্তী রায়ের পরে, যৌন অভিমুখতার ভিত্তিতে বৈষম্যমূলক আইনগুলি UDHR-এর লঙ্ঘন বলে ধরা হয়৷ বিশেষত, ‘সর্বজনীন’, ‘অন্যান্য স্ট্যাটাস’ বা বিকল্পভাবে, ‘সেক্স’-এর উল্লেখগুলি LGBTQ অধিকার অন্তর্ভুক্ত করে বলে নেওয়া হয়। ((Wintemute, 2002)) UN-এর International Covenant on Civil and Political Rights (ICCPR)-এর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য যেখানে বাংলাদেশ স্বাক্ষরকারী। তবে সমস্যাজনকভাবে, বাংলাদেশ তার সংবিধান এবং দেশীয় আইনের প্রেক্ষাপটে ICCPR অনুচ্ছেদ ২ এবং ৩-এর অ-বৈষম্যমূলক ধারাগুলিকে ব্যাখ্যা করার অধিকার সংরক্ষণ করে।” ((Chaney, P., Sabur, S., & Sahoo, S. (2020). Civil Society Organisations and LGBT+ Rights in Bangladesh: A Critical Analysis. Journal of South Asian Development, 15(2), 184–208 p.9))
বাংলাদেশে ধারা ৩৭৭-এর অব্যাহত অস্তিত্ব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মেনে চলার জন্য জাতির বাধ্যবাধকতার বিরোধী। এটা আশ্চর্যজনক যে বাংলাদেশ ধারা ৩৭৭ এখনো বহাল রেখেছে, এই ধারণার ভিত্তিতে যে সমকামিতা “প্রকৃতির আদেশের বিরুদ্ধে” যেখানে ব্রিটেন নিজেই ১৯৬৭ সালে সমকামিতাকে বৈধ করেছে। এটাও উল্লেখ্য যে ভারতে ধারা ৩৭৭ বাতিল করা যৌন অভিমুখের উপর ভিত্তি করে বৈষম্যের অস্বীকার করার পাশাপাশি আপ-টু-ডেট, বৈজ্ঞানিক প্রমাণের স্বীকৃতি দ্বারা প্রভাবিত, যা দেখায় যে সমকামিতাকে মানসিক অসুস্থতা হিসাবে বিবেচনা করা যায় না।
মানবাধিকার কমিশন (HRC) ২০১৮ সালে বাংলাদেশী রাষ্ট্রের কাছে সুপারিশ করেছে ৩৭৭ ধারা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করার জন্য-
“মানবাধিকার কমিটি অনুযায়ী, ধারা ৩৭৭-এর অধীনে সমকামী দম্পতিদের মধ্যে সম্মতিমূলক যৌন কার্যকলাপের অপরাধীকরণ এবং লেসবিয়ান, সমকামী, উভকামী, ট্রান্সজেন্ডার এবং ইন্টারসেক্স ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কলঙ্কজনক আচরণ, হয়রানি এবং সহিংসতাকে উৎসাহিত করে; এবং ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে বাধা দেয়। অধিকন্তু, সমাজে উচ্চ-স্তরের ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা যৌন এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছে। লেসবিয়ান, গে, উভকামী, ট্রান্সজেন্ডার এবং ইন্টারসেক্স ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা চালু করা উচিত এবং [HRC] সুপারিশ করছে যে বাংলাদেশ যেন যৌন ও লিঙ্গ সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব স্বীকার করে এবং ধারা ৩৭৭ বাতিল করে।” ((HRC 2018, p.3, para 14))
হাস্যকরভাবে, বাংলাদেশে এমন কোনও আইন নেই যা পুরুষ-অন-পুরুষ ধর্ষণকে অপরাধী করে। ধারা ৩৭৭ “স্বেচ্ছাসেবী শারীরিক মিলন” কে অপরাধী করে যেটিকে “প্রকৃতির আদেশের বিরুদ্ধে” বলে গণ্য করা হয়েছে; কারো সম্মতি লঙ্ঘনের ভিত্তিতে নয়। বাংলাদেশে LGBTQ সম্প্রদায়ের অবস্থা সম্পর্কে Sexual Rights Initiative একটি প্রতিবেদনে সুপারিশ করেছে যে বাংলাদেশের উচিত-
1) বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা বিলুপ্ত করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিমূলক সমকামী যৌনতাকে বৈধতা দেওয়া, জেটিতে বাংলাদেশ একটি স্বাক্ষরকারী (যেমন International Covenant on Civil and Political Rights)।
2) পুরুষের উপরে পুরুষের ধর্ষণের সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনে একটি পৃথক আইন প্রণয়ন করা, বা পুরুষ থেকে পুরুষ ধর্ষণকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিদ্যমান ধর্ষণ আইনের বিচার বিভাগকে বিস্তৃত করা।
3) HIV এবং AIDS প্রতিরোধের জন্য জাতীয় AIDS নীতি এবং কৌশলগত পরিকল্পনাগুলিতে যৌন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সম্পর্কিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করা।
4) HIV এবং AIDS সহ বসবাসকারী মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য একটি আইনি কাঠামো তৈরি করা।
ধারা ৩৭৭ LGBTQ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতার ন্যায্যতা হিসাবে কাজ করে এমনকি যখন তারা সমলিঙ্গ যৌনতায় লিপ্ত না হয়। অন্যান্য আইনের অপব্যবহার, যেমন ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৫৪ (arrest without warrant) ধারা ২৯০ (public nuisance) এর মতো আইনের ভিত্তিতে যৌন সংখ্যালঘুদের পুলিশি হয়রানির অনুমতি দেয়। উদাহরণস্বরূপ, কেরানীগঞ্জের কাছে কমিউনিটি সেন্টারে ২০১৭ সালের অভিযানের কথা বিবেচনা করুন-
“১৯ মে ২০১৭-এ, রেপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (RAB), বাংলাদেশের একটি অভিজাত নিরাপত্তা বাহিনী, কেরানীগঞ্জে (ঢাকার বাইরে) একটি কমিউনিটি সেন্টারে অভিযান চালায় যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ‘গে পার্টি’ বলে প্রচার করা হয়েছিল। আশপাশের অসন্তুষ্ট বাসিন্দাদের দ্বারা RAB-কে স্পষ্টতই খবর দেওয়া হয়েছিল। গুজব ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে যে গ্রেপ্তার হওয়া ২৭ জন পুরুষকে ‘সমকামী হওয়ার’ জন্য ৩৭৭ ধারার অধীনে অভিযুক্ত করা হবে কিন্তু প্রমাণের অভাবে তাদের বিরুদ্ধে মাদক রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। মানবাধিকার আইনজীবী এবং কর্মীদের গ্রেপ্তার হওয়া মানুষদের সাথে যোগাযোগের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তদুপরি, ২৭ জন যুবককে RAB গ্রেপ্তারের বিষয়ে যখন তাদের পরিবারকে অবহিত করে এবং আইনজীবী সরবরাহ করতে বললে তখন পরিবারের কাছে সেই ব্যক্তিদের পরিচয় ‘outed’ হয়ে যায়।” ((Independent (2017) ‘Bangladesh Authorities Arrest 27 Men on Suspicion of Being Gay’, Independent, 19 May; Hossain, A. (2019). Section 377, Same-Sex Sexualities and the Struggle for Sexual Rights in Bangladesh. Australian Journal of Asian Law, 20, 115))
শুধুমাত্র ধারা ৩৭৭ এর বিলুপ্তি বাংলাদেশে সমলিঙ্গের সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণে খুব বেশি অবদান রাখবে না যদি না নতুন আইন প্রণীত হয় যা যৌন অভিমুখের উপর ভিত্তি করে বৈষম্যকে অপরাধী করে। উপরন্তু, বেসামরিক হয়রানির মতো অপরাধের জন্য আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের দায়বদ্ধ রাখা দরকার। তদ্ব্যতীত, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে কাগজের আইনগুলি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে সামাজিক ধারণাকে সমবসময় প্রতিফলিত করে না। বাংলাদেশের সমাজে সমকামী বিদ্বেষ এতটাই প্রচলিত যে বাংলাদেশের কিছু সমকামী ভয়ের কারণে “সমকামিতা”-এর শনাক্তকারী বেছে নিতে অস্বীকার করে-
“একটি এনজিওর একজন সদস্য যারা পুরুষদের সাথে যৌন সম্পর্ক করেন তাদের সাথে কাজ করেন তিনি প্রকাশ করেছেন যে তিনি যদি সরকারী পরিবেশে নিজেকে সমকামী হিসাবে চিহ্নিত করেন তবে এটি তার চাকরিকে হুমকির মুখে ফেলবে। অন্য কথায়, একটি NGO-এর একজন কর্মচারী হিসাবে যে প্রতিরোধমূলক কৌশলের পরিপ্রেক্ষিতে পুরুষদের সাথে পুরুষের যৌন সম্পর্ক স্থাপনকারী পুরুষদের মডেলকে সাংস্কৃতিকভাবে উপযুক্ত হিসাবে সমর্থন করে, তার নিজের ক্ষেত্রে জনসমক্ষে “সমকামী” হিসাবে চিহ্নিত করতে বিরত থাকে। সর্বোপরি, তথাকথিত ‘MSM’ মডেলটি সমকামীদের পশ্চিমা-গঠিত পরিচয়-ভিত্তিক শ্রেণির প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে উদ্ভূত হয়েছিল। ((Boyce, 2007 & Khan, 2001)) এখানে বিদ্রূপাত্মক বিষয় হল যে, যদিও একটি অ-পরিচয়-ভিত্তিক পদ্ধতির উদ্দেশ্যে, MSM-ও একটি পরিচয়ের শ্রেণীতে পরিণত হয়েছে যেখানে অনেকেই সহজভাবে চিহ্নিত করেছেন (এবং তা চালিয়ে যাচ্ছে) ‘MSM’ হিসাবে।
বিপরীতে, অন্যান্য সমকামী পুরুষরা এই শব্দটির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, এটিকে অবমাননাকর মনে করে কারণ এটি তাদের যৌন অভ্যাস এবং একটা কাজে হ্রাস করে। প্রকৃতপক্ষে, Boys of Bangladesh (BOB) গঠনের একেবারে শুরুতে, এর সদস্যরা যৌন অধিকার অর্জনের জন্য অপ্রতুল বলে MSM কাঠামোর সমালোচনা করেছিলেন এবং ‘সমকামী’-কে রাজনৈতিকভাবে উচ্চতর শব্দ হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, সমকামী গোষ্ঠীগুলি নিজেদেরকে একটি বৈশ্বিক জোট এবং LGBTQ পরিচয়ের চারপাশে সংগঠিত যৌনতা আন্দোলনের নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে দেখে। এটি এমন একটি অবস্থান যেখানে ট্রান্সজেন্ডার এবং MSM-কেন্দ্রিক NGO প্রতিনিধিরা সম্পর্ক করতে পারে না। কর্মশালায় উপস্থিত একটি অনানুষ্ঠানিক গোষ্ঠীর দুই মহিলা সদস্য আত্ম-পরিচয়ের জন্য লেসবিয়ানের পরিবর্তে আরও উপযুক্ত অভিব্যক্তি হিসাবে ‘সোমোপ্রেমি’ একটি বাংলা অভিব্যক্তি, যার অর্থ “সমলিঙ্গ প্রেমী” হিসাবে উপস্থাপন করেছেন। সমকামী গোষ্ঠীর কিছু সদস্য রাজনৈতিকভাবে পশ্চাদপসরণকারী হিসাবে যৌনতা থেকে প্রেমের দিকে পরিবর্তনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।” ((Hossain, A. (2019). Section 377, Same-Sex Sexualities and the Struggle for Sexual Rights in Bangladesh. Australian Journal of Asian Law, 20, 115, p.5))
MSM-এর সংগা হলো-
“MSM” একটি শব্দ যা সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যবহৃত হয় এবং “men who have sex with men” বা “males who have sex with males” বোঝায়। তবে এ শব্দের ব্যবহারে, কিছু সূক্ষ্ম সমস্যা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু অংশগ্রহণকারীদের জন্য, penetrator বনাম penetrated কাঠামো অনুযায়ী তাদের যৌন পরিচয়কে লিঙ্গের ধারণার অনুসারে male বনাম non-male হিসাবে আলাদা করে। এই পরিস্থিতিতে, সংজ্ঞা অনুসারে, শুধুমাত্র একজন পুরুষ থাকবে, এবং MSM শব্দটি ভুল হবে। পরিভাষাটি অ-অনুপ্রবেশকারী যৌন আচরণ বা পুরুষদের ট্রান্সজেন্ডারদের সাথে যৌন সম্পর্ক অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে, MSM-এর বিকল্প পরিভাষা ব্যবহার করা যেতে পারে; শর্তাবলী যা পুরুষদের তাদের যৌন আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখ করে (যেমন, “কোথি”-পুরুষ যারা কখনও কখনও তাদের আচরণকে মেয়েলি করে এবং বলে যে তারা পায়ূ বা ওরাল সেক্সে গ্রহণযোগ্য ভূমিকা পছন্দ করে)। সমস্যাটি যৌন চর্চা বনাম পরিচয়ের বৈশিষ্ট্যের সাথে রয়ে গেছে, যা ঝুঁকি এবং দুর্বলতা কমাতে একটি ক্ষমতায়ন পরিবেশের বিকাশকে সম্ভাব্যভাবে সীমিত করে।” ((Khan, S., & Khan, O. A. (2006). The trouble with MSM. American Journal of Public Health, 96(5), 765))
যখন শনাক্তকারীর প্রসঙ্গ আসে, অনুশীলনটি হওয়া উচিত যে মানুষদেরকে জিজ্ঞাসা করা যে তারা নিজেদেরকে কিভাবে উল্লেখ করে, তৃতীয় পক্ষ হিসাবে তাদেরকে শ্রেণীবদ্ধ না করে৷ আমরা যদি এমন একটি দেশে বাস করি যেখানে সমকামীরা নিজেদেরকে “সমকামী” হিসাবে চিহ্নিত করতে পারে না কারণ সমাজ এই শব্দের প্রতি গভীর ঘৃণা পোষণ করে, তাহলে আমরা বাংলাদেশে সমকামী ধারণাটিকে স্বাভাবিক করার আশা করতে পারি না।
ভারত এবং ধারা ৩৭৭
ভারত, বাংলাদেশের বিপরীতে, ২০১৮ সালে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক ৩৭৭ ধারা বাতিলের মাধ্যমে সমকামী সম্পর্ককে বৈধতা দিয়েছে।
“২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের ৩৭৭ ধারায় প্রাপ্তবয়স্কদের সম্মতিপূর্ণ সমলিঙ্গের সম্পর্ককে বৈধ করার জন্য এই ঐতিহাসিক রায় LGBTQ জনসংখ্যার অধিকারের পথ প্রশস্ত করেছে। একই লিঙ্গের মধ্যে সম্মতিমূলক যৌন সম্পর্ক ভারতের সংবিধানের ১৪, ১৯ এবং ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে সুরক্ষিত। একজনের সঙ্গী নির্বাচন করার অধিকার ২১ অনুচ্ছেদে প্রকাশিত। এইভাবে, ঐতিহাসিক রায়ে রায় নির্ধারণ করেছে যে সম্মতিক্রমে প্রাপ্তবয়স্ক সমকামী যৌনতা একটি অপরাধ নয়, এই বলে যে যৌন অভিমুখিতা প্রাকৃতিক এবং এর উপর মানুষের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই এটা গুরুত্বপূর্ণ যে LGBTQ জনগণের সাংবিধানিক অধিকার এবং ক্ষমতায়ন ঘটে, ভারতে যে ধরণের বৈষম্য দেখা গেছে, তার পরিবর্তে।”((T.S.S, Rao, Banerjee, D., Sawant, Neena, Narayan, C., Tandon, A., & Rao, S. (2022). Forensic and Legal Aspects of Sexuality, Sexual Offences, Sexual Dysfunctions, and Disorders. Indian Journal of Psychiatry, 64, 108–129 p.125))
২০১৭ সালে পাস করা মানসিক স্বাস্থ্যসেবা আইন (MHCA), সমকামী সম্পর্ককে বৈধ করার ক্ষেত্রে আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে প্রভাব রাখে। আদালতের যুক্তিগুলি নীচে নথিভুক্ত করা হয়েছে -
• ২০১৭ সালের MHCA হল একটি প্রধান নথি যার ভিত্তিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে ধারা ৩৭৭ অসাংবিধানিক, কারণ এ আইন LGBTQ সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তাদের যৌন অভিমুখের ভিত্তিতে বৈষম্য করে এবং ভারতের সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা তাদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে।
• আদালত আরও বলেছে যে LGBTQ সম্প্রদায়ের সদস্যরা অন্যান্য নাগরিকদের মতো “সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত স্বাধীনতা সহ সাংবিধানিক অধিকারের সম্পূর্ণ পরিসরের অধিকারী৷”
• আদালত বলেছে, সমকামিতা কোনো মানসিক রোগ নয়। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা ২০১৭ সালের MHCA-কে যে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা তাৎপর্যপূর্ণ কারণ মানসিকভাবে অসুস্থদের বিরুদ্ধে বৈষম্যকারী অন্যান্য আইনের বিরুদ্ধে একই যুক্তি দেওয়া যেতে পারে (বিশেষ করে হিন্দু বিবাহ আইন ১৯৫৫ এবং বিশেষ বিবাহ আইন ১৯৫৪)।
• আদালত বলেছিল যে একদিকে, MHCA যৌন অভিমুখের উপর ভিত্তি করে বৈষম্য ছাড়াই মানসিক স্বাস্থ্যসেবা অ্যাক্সেস করার অধিকার নিশ্চিত করে এবং অন্য দিকে ৩৭৭ ধারা LGBTQ ব্যক্তিদের অপরাধযোগ্য করে যা “তাদেরকে স্বাস্থ্য সুবিধাগুলিকে অ্যাক্সেস করতে বাধা দেয়” এবং তাদের স্বাস্থ্যের অধিকার লঙ্ঘন করে। যদি LGBTQ ব্যক্তিরা বৈষম্য ছাড়াই মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য যোগ্য হন, তাহলে সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত তাদের অধিকার ও স্বাধীনতার অন্য কোনো দিক থেকে তাদের সাথে বৈষম্য করা যাবে না।
• ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ((National Legal Services Authority of India vs. Union Of India: NALSA)) ধারা ৩৭৭ লঙ্ঘন করে: (i) অনুচ্ছেদ ১৪ (যা আইনের সমান সুরক্ষা এবং স্বেচ্ছাচারিতা থেকে সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয়) (ii) অনুচ্ছেদ ১৫ (যা লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে বৈষম্যকে নিষিদ্ধ করে) (iii) অনুচ্ছেদ ১৯ (১) (i) (যা মত প্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়) এবং (iv) অনুচ্ছেদ ২১ (যা জীবনের অধিকার, মর্যাদার অধিকার, গোপনীয়তার অধিকার এবং স্বাস্থ্যের অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়)।
• যৌন অভিমুখীতা একজন ব্যক্তির পরিচয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ যা জীবন ও মর্যাদার অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একজনের ব্যক্তিগত জীবন এবং তার অভিব্যক্তি সম্পর্কে পছন্দ করার অধিকার সেই ব্যক্তির স্বায়ত্তশাসিত সিদ্ধান্ত এবং গোপনীয়তার অধিকারের সাথে সম্পর্কিত। Gender role স্টেরিওটাইপের উপর ভিত্তি করে বৈষম্য করা হলো লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে বৈষম্যের সমান।
• সমকামিতা কোনও মানসিক রোগ নয়: নভতেজ জোহর মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যুক্তি দিয়েছিল যে সমকামিতা কোনও মানসিক রোগ নয়। MHCA-এর বিধানগুলি সংসদের একটি দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা যে সমকামিতা বর্তমান বিশ্বব্যাপী ঐকমত্যের কোনও মানসিক রোগ বা মানসিক ব্যাধি নয়।
• আদালত মতামত দিয়েছে যে “মানসিক অসুস্থতা” এর সংজ্ঞা (MHCA অনুসারে) আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত চিকিৎসা মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করা যা স্পষ্ট করে যে সমকামিতা একটি মানসিক রোগ নয়।
• আদালত আরও স্বীকার করেছে যে MHCA-এর মতে, মানসিক রোগের ধারণাকে অবশ্যই “আন্তর্জাতিক ধারণার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং World Health Organization-এর ধারা ৩ (১) এর অধীনে International Classification of Diseases-এর সর্বশেষ সংস্করণ সহ স্বীকৃত চিকিৎসা মানদণ্ডের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। ((T.S.S, Rao, Banerjee, D., Sawant, Neena, Narayan, C., Tandon, A., & Rao, S. (2022). Forensic and Legal Aspects of Sexuality, Sexual Offences, Sexual Dysfunctions, and Disorders. Indian Journal of Psychiatry, 64, 108–129 p.128))
আদালত কেবলমাত্র ৩৭৭ ধারাটিকে অসাংবিধানিক বলে মনে করেনি; বরং বলেছেন যে সমকামিতাকে মানসিক রোগ হিসাবে বিবেচনা করা যায় না এবং যৌন অভিমুখের ভিত্তিতে মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা বা সামাজিক পরিষেবাগুলি থেকে তাদের অ্যাক্সেস বঞ্চিত করা যায় না। ভারতে সমকামী আচরণকে বৈধ করা হয়েছে, তা সত্ত্বেও, LGBTQ সম্প্রদায়ের অধিকারের ক্ষেত্রে ভারত পশ্চিমা বিশ্বের মানদণ্ড থেকে এখনও পিছিয়ে রয়েছে। এই অধিকারগুলির মধ্যে রয়েছে-
“সমলিঙ্গের সম্পর্ক এবং বিবাহের সমতার আইনি স্বীকৃতি।
• হাসপাতাল এবং বীমা ফর্মগুলিতে সমকামী অংশীদারদের মনোনীত করার অধিকার।
• বিবাহের সুবিধা যেমন যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
• দত্তক নেওয়ার অধিকার।
• সারোগেসি সেবা পাওয়ার অধিকার।
• সেনাবাহিনীতে চাকরি করার অধিকার। ((T.S.S, Rao, Banerjee, D., Sawant, Neena, Narayan, C., Tandon, A., & Rao, S. (2022). Forensic and Legal Aspects of Sexuality, Sexual Offences, Sexual Dysfunctions, and Disorders. Indian Journal of Psychiatry, 64, 108–129 p.128))
যদিও বাংলাদেশের তুলনায়, ভারত LGBTQ মানুষের মানবাধিকারের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে রয়েছে। কেউ কেবল আশা করতে পারে যে ধারা ৩৭৭ অবশেষে বাংলাদেশে বাতিল হবে। তবে, ভারতের ক্ষেত্রে প্রমাণিত, এই ধরনের প্রত্যাহার অগত্যা স্বাস্থ্যসেবার আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃতির সাথে জড়িত হতে হবে যা সমকামী লোকদেরকে সাধারণ মানুষ হিসাবে দেখার দিকে নিয়ে যায়।
বাংলাদেশে ৩৭৭ ধারার বাতিল
এটা দুঃখজনক যখন বাংলাদেশিরা সমকামিতা এবং non-heterosexual যৌনতাকে অপ্রাকৃতিক বলার ভিত্তি হিসেবে ৩৭৭ ধারার দিকে ইঙ্গিত করে। এই ধরনের অবস্থান বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানের নিচে রাখে এবং বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আদর্শ হিসেবে homiphobia কে প্রতিষ্ঠিত করে। তা ছাড়াও, এই ধারণা যে সমকামিতা “অপ্রাকৃতিক” বা একটি “মানসিক ব্যাধি” বৈজ্ঞানিক প্রমাণের সাথে সম্পূর্ণভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ। পদ্ধতিগত পরিবর্তনের অর্থ আংশিকভাবে, যৌন স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তার স্বীকৃতি যা ধারা ৩৭৭ বাধা দেয়। অর্থাৎ, পদ্ধতিগত পরিবর্তন সমকামী সম্পর্কের স্বাভাবিকতা কামনা করে ধারা ৩৭৭-এর সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে শুরু হতে হবে।